নিখাদ বার্তাকক্ষ: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণ আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। তার পরেই আছে বন্দুক হামলায় মৃত্যু। সময়ের সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমলেও, আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাবে বন্দুকের ব্যবহার বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে দেশটির অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন। স্থানীয় সময় মঙ্গলাবার বেলা ১১টার দিকে চালানো হামলায় প্রাণ হারান ১৯ শিক্ষার্থী, আহত হয়েছেন আরও ২১ জন।
বন্দুকধারীর নাম সালভাদর রামোস। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে সে তার দাদিকেও গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এমন বন্ধুক হামলা প্রায়ই ঘটে। তবে অস্ত্র আইনে বড় পরিবর্তন আনেনি রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট… কোনো সরকারই।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ কোটি নাগরিকের হাতে ৩৯ বন্দুক কোটি আছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে একটি প্রতিবেদনও ছেপেছে সিডিসি।
সিডিসির হিসাবে, ২০২০ সালে গুলিতে প্রান হারিয়েছে চার হাজার ৩০০ শিশু। তাদের বয়স ১-১৯ বছরের মধ্যে। ২০১৯ সালের চেয়ে যা ৩৩.৪ শতাংশ বেশি।
সিডিসি বলছে, দেশে ২৯.৫ শতাংশ শিশু, কিশোররা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। গুলিতে মৃত্যুর ঘটনাগুলোর মধ্যে আছে খুন, আত্মহত্যা, অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার হার বাড়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ।
আইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সুযোগ প্রায় অবাধ বলে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন অনেক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, এসব ঘটনার মূল কারণ বিনামূল্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার সুবিধা। যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত হলেও, প্রস্তুতকারকদের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণ আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। তার পরেই আছে বন্দুক হামলায় মৃত্যু। সময়ের সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমলেও, আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাবে বন্দুকের ব্যবহার বাড়ছে। সূত্র : এএফপি