১০১ দিন পর ফিরল কফি হাউসের সেই আড্ডা। তবে, অর্ধেক সামর্থ্যে ভর করে। বুধবার সকাল ১১টায় ঐতিহ্যবাহী কফি হাউসের দরজা খুলে দেওয়া হল নাগরিকদের জন্য। জানা গেছে, এবার থেকে কলকাতার আনলক ২.০ পর্বে কফি হাউস খোলা থাকবে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। আগে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকত এই বিপণী।
তবে এখন একতলা ও দ্বিতীয় তলা মিলিয়ে আছে ৫০টি টেবিল। অর্থাৎ তলাপিছু ২৫টি টেবিল। আগে ছিল দুই তলা মিলিয়ে ১০০টি টেবিল। পাশাপাশি প্রতি টেবিল পিছু চারজন গ্রাহকের বসার অনুমতি মিলছে কফি হাউসে। চলছে ঘনঘন স্যানিটাইজেশন। প্রতিবার সর্বাধিক ১০০ জন গ্রাহককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে, কফি হাউস কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ, কীভাবে টেবিল ছাড়তে বলা হবে গ্রাহকদের।
কারণ আগে ঘন্টার পর ঘণ্টা টেবিলে বসে চলত বাঙালি আড্ডা। উঠতে কফি কাপে ধোয়া সঙ্গে টোস্ট কিংবা ফিশফ্রাই। যেহেতু আনলক পর্বে গণজমায়েতে সবকিছু নিয়ন্ত্রিত, তাই সেই ১৯৪২ থেকে চলে আসা এই প্রথা ভাঙতেই এখন গলদঘর্ম কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের কর্মীরা।
তাই ফুড মেনু কমিয়ে গ্রাহকের উপস্থিতি সময় কমানোর পক্ষেই জোর দিয়েছে তারা। এবিষয়ে ভারতীয় কফি কর্মী সমবায় সংগঠনের সচিব তপন কুমার পাহাড়ি বলেন, ‘আমরা ফের ১০১ দিন পর দরজা খুলতে পারলাম। পুরনো যারা গ্রাহক তাদের বলবো আপনারা নিশ্চিন্তে আসুন। স্যানিটাইজিং, থার্মাল স্ক্যানিং সবকিছুর ব্যবস্থা রেখেছি আমরা।’
আনলক পর্বে কফি হাউস খোলার প্রথম দিনেই আবেগে গা ভাসাতে আসা অনীশা ঘোষের দাবি, ‘গত উনিশ বছর ধরে কফি হাউসে আসছি। শেষ তিন মাস আসতে পারিনি, তাই মনে একটু উচাটন ছিল। তাই যখন খবর পেলাম আজ থেকে কফি হাউস খুলছে। ছুটে চলে এলাম।