নিখাদ বার্তাকক্ষ: ধামরাইয়ে তরুণ-তরুণীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-৪। এ সময় জিম্মি করা ওই তরুণ-তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালের দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া গ্রামের মোকলেছুর রহমানের বাড়ি থেকে ওই তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার ও জিম্মিকারিদের আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. আল আমিন (৩০), কৃষ্ণপুরা গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে মো. আরিফুজ্জামান পিন্টু (৩৬), বারবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুস সাওারের ছেলে মো. আবু বকর সিদ্দিক (৩৫) ও চারিপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (৩৭)। ভুক্তভোগী তরুণ ও তরুণী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
র্যাব জানায়, সোমবার মোবাইল ঠিক করাতে সাভারে যান ওই তরুণী। রাত ১১টার দিকে বাসযোগে বারবাড়িয়া আসেন তিনি। বাসস্ট্যান্ডে তার সঙ্গে দেখা হয় পূর্বপরিচিত এক তরুণের।
পরে তারা একসঙ্গে বাড়ির দিকে যেতে থাকেন।
এ সময় মো. মোকলেছুর রহমানের বাড়ির সামনে তাদের পথরোধ করে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে শুরু করে একদল যুবক। একপর্যায়ে তারা ওই তরুণ-তরুণীকে মোকলেছুর রহমানের বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে এবং ছবি তুলে নেয়। এ সময় অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে তরুণের বাবার কাছে ফোন করে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। একই সঙ্গে তারা ওই দুজনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
পরে সকালের দিকে ওই তরুণ টাকা আনার কথা বলে কৌশলে বিষয়টি র্যাবকে জানায়। পরে র্যাব-৪-এর মানিকগঞ্জের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে এবং ৪ জনকে আটক করে। এ সময় আটকদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল, মোটরসাইকেল ও চাঁদাবাজির নগদ ৩২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সিপিসি-৩ র্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।