ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরান।
গত ৩ জানুয়ারি ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে চালানো বিমান হামলায় কাসেম সোলাইমানির পাশাপাশি ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ দুই দেশের আরো ৮ কমান্ডার শহীদ হন।
ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভি জানিয়েছে, বাগদাদে বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ইরানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিচারক।
কাসেম সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল মুহান্দিসের ছবি হাতে ইরাকে বিক্ষোভ
পরে ইরানের রাষ্ট্রীয় আইনজীবী আলি আলকাসি মেহর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ছাড়াও আরও ৩৫ জন মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতের বিচারক ট্রাম্পসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির করতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ট্রাম্পকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তেহরান নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যাবে। কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিবাদে ইরানে শিশু ও নারীদের বিক্ষোভ এর আগে গত ১১ জুন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসেন বাহারভান্দ বলেছেন, আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান শহীদ কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
তিনি ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি’র সঙ্গে আলাপকালে আরো বলেন, জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দেশের ভেতরে তদন্ত শেষ হওয়ার পর বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দুই দিক থেকেই করা হবে। দেশের অভ্যন্তরে বিচার হবে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইরানের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক আলাদতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সূত্র : পার্সটুডে