নিখাদ বার্তাকক্ষ : আবহমান বাংলার ঐতিহ্য, গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ধরণের নৌকা সংরক্ষণ এবং নৌ-পর্যটন প্রসারে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে এক সাথে কাজ করবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং দেশের সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ।
আজ রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
এই চুক্তির মাধ্যমে ফ্রেন্ডশিপ প্রকল্পের অধীন কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ ঘটবে বলে আশা করেন বক্তারা।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিপনন, পরিকল্পনা ও জনসংযোগ পরিচালক আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেন, নদী মাতৃক এবং ষড়ঋতুর বাংলাদেশে দর্শনার্থীদের জন্য ঘুরে দেখার যথেষ্ট স্থান রয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরণের ঐতিহ্যবাহী নৌকা, পিঠা-পুলি-পায়েসের মত বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং বাংলার প্রকৃতি কাছে টানে সবাইকে। এসব ঐতিহ্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরা গেলে, দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশি পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করা সম্ভব।
দু’বছর মেয়াদী এ চুক্তির ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান। তিনি জানান, উন্নয়ন পর্যটনকে গুরুত্ব দিতেই বাংলাদেশে ট্যুরিজম বোর্ডের সাথে এমন উদ্যোগে অংশীদার হয়েছে ফ্রেন্ডশিপ। দেশজুড়ে ফ্রেন্ডশিপের কর্মসূচী এলাকায় স্থানীয় ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে উন্নয়ন পর্যটনের মাধ্যমে। এ সংস্থার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হচ্ছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নৌকার নমুনাগুলো। সরকারের এ সংস্থার সাথে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে আশা করেন ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থ ও প্রশাসন পরিচালক শাহ আব্দুল আলীম খান, ফ্রেন্ডশিপের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মুহাম্মদ শামীম রেজা, ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক রাহনুমা সালাম খান, মোছাঃ হাজেরা খাতুন, সহকারী পরিচালক মহিবুল ইসলাম, মোঃ বোরহান উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।