নিখাদ বার্তাকক্ষ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আলহাজ মকবুল হোসেন দলের প্রতিটি দুঃসময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথম সারির কর্মী এবং তিনি নিজেকে একজন সফল সংগঠক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আগামীকাল ২৪ মে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মকবুল হোসেন ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন। নানা নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করে সেই আদর্শ ধারণ করেই দলের বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা ও সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও আলহাজ মকবুল হোসেন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে সফলভাবে দায়িত্বপালন করেছেন। ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকা ছিল এক সময় সন্ত্রাস-মাদকের স্বর্গরাজ্য। সেই এলাকার জন্য নির্ধারিত ঢাকা-১ আসন থেকে তিনি ১৯৯৬ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর গড়ে তুলেছিলেন। এলাকার সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থেকেছেন। তাছাড়া তিনি মসজিদ, বাজার ও রাস্তাঘাট নির্মাণ, এবং পানি ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন- যা এই এলাকার মানুষের নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান আল¬াহ রাব্বুল আলামিন প্রয়াত এই কর্মবীর, সমাজকর্মী, রাজনীতিককে তার সৎ ও পূণ্য কর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন এই প্রার্থনা করি।’ তিনি দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আলহাজ মকবুল হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সেই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।