শেখ হাসিনা কেন ব্যতিক্রম? – মো. মাহমুদ হাসান
হতাশা, অপ্রাপ্তি, অভিযোগ আর নানা অনুযোগের মাঝেও যখন কেউ স্বপ্ন দেখাতে পারেন তখন তিনিই সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল হয়ে উঠেন। আর স্বপ্ন যখন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়, তিনিই তখন হয়ে উঠেন আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। সমাজ, রাজনীতিতে পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্ব চিরন্তন।
কেউ যা আছে তাকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে থাকতে চায়, কেউবা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। প্রথমোক্তরা ট্রাডিশনাল বা সনাতনী, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয়রা সাহসী, ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত, দূরদর্শিতায় পারঙ্গম। তাই যে কোনো চ্যালেঞ্জকে সামলে নিতে এঁরা সিদ্ধহস্ত। সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতৃত্বে এমন বিচক্ষণতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বাঙালি সমাজ ব্যবস্থার ইতিহাস অনেক প্রাচীন হলেও তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ একটি নবীন রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু মুজিবের স্বপ্নের বাংলাদেশ গেল বছরই উদযাপন করেছে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ইতিহাসের বর্বরোচিত পৈশাচিকতায় নিহত হন মহানায়ক জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর পঞ্চাশ বছর বয়সী এই ভূখণ্ডটি অর্ধেকেরও বেশি সময় দায়বদ্ধতাহীন সামরিক শাসক ও স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থী শাসকদের করায়ত্তে ছিল। ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত আর নিজ শাসনকালকে দীর্ঘায়িত করতেই এসব শাসকগোষ্ঠী ব্যস্ত সময় পার করেছে। উন্নয়ন কে টেকসই করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সৃষ্টি ও সম্পদের সদ্ব্যবহারের পরিবর্তে বৈদেশিক সাহায্য আর দান-খয়রাতেই এরা বেশি মনোযোগী ছিলেন। তাই দীর্ঘ দুই দশক বাঙালি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে উঠার প্রক্রিয়াটি ছিল অনুপস্থিত।
এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হবে, জয়বাংলা জাতীয় স্লোগান হবে, আত্মনির্ভরশীল জাতীয় বাজেট হবে- এমন ভাবনা তো এক সময় আকাশকুসুমই ছিল! স্বৈরাচারের শাসনকাল, ১৯৮৪-৮৫ সালের কথা, হবিগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়তার কারণে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতাদের সাথে প্রায়শই আলাপচারিতার সুযোগ হতো। সেই সময়ে হবিগঞ্জের একটি মাত্র সরকারি কলেজ বৃন্দাবন কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাসে ১০৪ নম্বর কক্ষটিতে ছিল আমার বসবাস। নানা কারণেই ছাত্রাবাসের এই কক্ষটির ঐতিহ্য রয়েছে। আমার পূর্বে হবিগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়া অনেকেই এ রুমটির আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
ছাত্রাবাসের এই কক্ষটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিস হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। হবিগঞ্জে স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক কর্মপরিকল্পনা এখানে বসেই তৈরী হতো। আর এসব কর্ম পরিকল্পনায় মধ্যমণি হিসেবে থাকতেন তৎকালীন ছাত্রনেতা ও বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আবু জাহির, ছাত্রনেতা ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, জেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ও বর্তমানে জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম, ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রবাল মোদক সহ অনেকেই। শক্তি, সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিতেন, সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা ও পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদির চৌধুরী।
প্রায়শই কেন্দ্রীয় অনেক ছাত্রনেতা ছাত্রাবাসের সেই কক্ষটিতে অতিথি হতেন। সেই সময়ে সাংগঠনিক জেলা হবিগঞ্জের দায়িত্ব প্রাপ্ত হিসেবে ক্যারিশমাটিক ছাত্র নেতৃত্ব সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (পরবর্তীতে ডাকসু ভিপি ও বর্তমান সংসদ সদস্য) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় মেধাবী ছাত্রনেতা সৈয়দ সাব্বির হোসেন সাগর প্রায়শই হবিগঞ্জ আসতেন। অনেক আলোচনাই জমে উঠতো।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিপীড়িত আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের শংকার জবাবে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতেন, আওয়ামী লীগ একদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হবে!! সেই সময়ে কথাগুলোকে মনোবল চাঙা রাখার কৌশল বলেই মনে হতো। একসময় অপ্রত্যাশিত মনে হলেও, শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বে ১৯৯৬ এ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়।
উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের ‘বিব্রতবোধ’ বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করলেও শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সুকঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
২০০৮ এ নির্বাচনের প্রাক্কালে রূপকল্প ঘোষণা করে শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। অজ্ঞতার কারণে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে এ খালেদা জিয়ার সরকার বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও শেখ হাসিনার সরকার সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে কাজ শুরু করলেন। শুরুতে ‘ ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে সমালোচনা আর রাজনৈতিক প্রপাগাণ্ডা কম হয়নি, আর একে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বহু বিজ্ঞজনও।
আমার মতো আমজনতা বিশ্বাসই করতে পারিনি, সাধারনের হাতেও একদিন ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা পৌঁছে যাবে। অথচ আজ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় বারো কোটি। ক্রমান্বয়ে দ্রুত গতিতে বিভিন্ন পরিসেবা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসাতে সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঘুস দুর্নীতির ক্ষেত্রও সংকুচিত হয়ে আসছে। এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশের সমালোচকদের চোখের সামনেই তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে গত একযুগে দুই মিলিয়ন মানুষের কর্ম সংস্থান হয়েছে। বর্তমানে এই খাতের বার্ষিক আয় ১.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ২০২৫ সালের মধ্যে যা পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এভাবে দিন বদলের মাধ্যমেই দৃঢ় প্রত্যয়ী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব বিকশিত হয়ে উঠে।
এক সময় বাংলাদেশের সৎ সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্দশার অন্ত ছিল না, অপেক্ষাকৃত দরিদ্র মেধাবীরা সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে কন্যাদানেও আর্থিক ভবিষ্যতের কথা ভেবে পিতা-মাতা শঙ্কিত হতেন। পরিস্থিতির উত্তরণে বাংলাদেশের ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীনের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা ‘জাতীয় বেতন ও চাকুরী কমিশন-২০১৩’ গঠন করলেন। ২০১৪ সালে শতভাগ বেতন বৃদ্ধি আর সুযোগ সুবিধার প্রস্তাবনা সম্বলিত সুপারিশে অনেক নীতি-নির্ধারক, অর্থনীতিবিদ বুদ্ধিজীবিরাও আঁতকে উঠলেন, মুদ্রাস্ফীতি আর অর্থ সংস্থানের শংকা নিয়ে সমালোচনা মুখর হলেন।
ফরাসউদ্দীন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ঝুঁকি নিলেন শেখ হাসিনা, সৎভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর প্রজাতন্ত্রের সেবকদের ঘরে ছড়িয়ে দিলেন আলোর বাতাস। মুদ্রাস্ফীতি ঠেকিয়ে অর্থনীতেতেও গতি সঞ্চারিত হলো। সামাজিক ব্যাধি দূর্নীতির মাত্রা কতটা স্তিমিত হয়েছে, সেটি গবেষণা সাপেক্ষ হলেও বেতন কমিশনের বিলাসী প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন, অঙ্গীকারে দৃঢ়তা থাকলে যে কোনো অসাধ্যকেই সাধন করা সম্ভব।
খরস্রোতা সুগভীর জটিল ভূ-প্রকৃতির পদ্মায় সেতু নির্মাণ এক সময় একটি আকাশ কুসুম কল্পনা মনে হলেও, এখন তা ই বাস্তব। তবে এ কল্পনা কে বাস্তবে রূপায়িত করতে কম মূল্য দিতে হয়নি, প্রারম্ভিক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছিল, সচিব মোশাররফ হোসেনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে দায়িত্ব বিরতি নিয়ে আরও অনেক রাজনীতিক আর আমলার সঙ্গে দুর্নীতির মামলায় কলংকিত হতে হয়েছিল।
যে প্রকল্পে অর্থই বরাদ্দ হয়নি, সেখানে ১০% উৎকোচের উদ্ভট গল্প সাজিয়ে সরকার তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ভূলুণ্ঠিত করার অপচেষ্টা হয়েছিল। শুরু থেকেই শেখ হাসিনা যে আষাঢ়ে গল্পের প্রতিবাদ করে আসছিলেন, কানাডার আদালতে পরবর্তীতে সেই সত্যটিই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এতসবের পরেও শেখ হাসিনা যখন প্রয়োজনে নিজের টাকায় পদ্মা সেতুর কথা বলছিলেন তখন আমাদের ঝানু অর্থনীতিবিদরা আঁতকে উঠেছিলেন, এমন চিন্তাকে অলীক মনে করে যে কোনো মূল্যে বিশ্বব্যাংককে পাশে পাওয়াই যেন একমাত্র পথ্য ছিল, তাই ষড়যন্ত্রমূলক অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের মনোবাসনা পূর্ণই যেন ছিল একমাত্র সমাধান। তাই তো সেই সময়ের অর্থমন্ত্রী খোদ মুহিত সাহেবও শেষ অবধি আন্তর্জাতিক মহাজনি সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সন্তুষ্টি অর্জনেই ব্যস্ত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের মতো মেগা মুরব্বিদের অর্থায়ন ছাড়া পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প নিজস্ব তহবিলে বাস্তবায়িত হলে বিভিন্ন সেক্টরের ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়,বলে দেশের সব বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদরা সরকারকে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছিলেন। সবার পরামর্শকে তোরাই কেয়ার করে নিজস্ব অর্থেই বঙ্গবন্ধু কন্যা পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিলেন। শেখ হাসিনার জেদের ফসল পদ্মা সেতু আজ জাতিকে এক নতুন আত্মমর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। উন্নয়নশীল দেশের উপর ছড়ি হাঁকিয়ে যে আইএমএফ আর বিশ্বব্যাংক খবরদারি করে বেড়াতো, বাংলাদেশের সক্ষমতা আর শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় তারাও আজ অভিভূত। আমার মতো প্রবাসী বাঙালিরা মর্যাদা আর গৌরবে উদ্বেলিত।
শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী নন, দেশের কর্মক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক সকল জনগোষ্ঠীকেই পেনশন সুবিধার আওতায় আনার অত্যন্ত ব্যয়বহুল এক বিলাসী পরিকল্পনার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজনে আর বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণে এমন যুগান্তকারী পরিকল্পনাকে বাস্তবতাবায়নের পথেও তিনি দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
অতি সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ২০২২-২৩ অর্থ বছর থেকেই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। এ পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে পদ্মা সেতুর মতো বুদ্ধিজীবি মহলের ‘না-বোধক’ মতামত দৃষ্টিগোচর না হলেও ‘প্রথম আলো’র এক পাঠক জরিপে দেখা যায় প্রায় শতভাগ অংশগ্রহণকারী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ সংশয়ও একদিন মিথ্যা প্রমাণিত হবে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর মধ্য দিয়ে একটি সত্যিকারের কল্যাণ রাষ্ট্রের পথেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
যিনি স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাঠেন, তিনিই তীরে ভিড়ার কষ্ট বুঝেন। দুর্নীতি আর দুঃশাসনে আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি সমাজব্যবস্থাকে কল্যাণ আর সুশাসনের পথে এগিয়ে নেওয়া মোটেও সহজ বিষয় নয়। তবুও শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন, সব প্রতিকূলতাকে জয় করেই তীরে ভিড়ার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন। জাতির আক্ষেপ আর সব অনুযোগকে বিবেচনায় নিয়ে নানামুখী উন্নয়ন মেগা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্রমান্বয়েই ব্যতিক্রমী হয়ে উঠছেন। লক্ষ্যে পৌঁছতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাই পারঙ্গম, তাই তো তিনি সবার চেয়েই ব্যতিক্রম।