ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর নদীতে লাফিয়ে পড়া প্রায় ৩০০ যাত্রীকে বিনা ভাড়ায় পারাপার করা ট্রলারচালক মিলন খানকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে জেলা পুলিশ। বুধবার দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এনে তাকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন।
এ সময় মিলন খানের কৃতিত্বের জন্য পুলিশ সুপার তাকে ধন্যবাদ জানান। পুলিশের সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মিলন খান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লেগে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে।
মিলন খান বলেন, জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ৩০০ যাত্রীকে উদ্ধারে কাজ করেছি। বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের বিনা ভাড়ায় নিরাপদে তীরে পৌঁছে দিয়েছি। আমার কৃতিত্বে খুশি এলাকার মানুষ। শুধু আমি নয়, নদীপাড়ের দুই গ্রাম দিয়াকুল আর চরবাটারাকন্দার গ্রামবাসীও অংশ নেয় উদ্ধারকাজে। পুলিশ সুপার স্যার আমাকে টাকা দিয়ে নতুনভাবে মানুষের জন্য কাজ করার উৎসাহ দিয়েছেন। তাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, মিলন খান যে কাজটি করেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি প্রথমে বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। আগুনের খবর পেয়ে তিনি নিজের ট্রলার নিয়ে বিনা ভাড়ায় মানুষকে পারাপার করেছেন। আমি তাকে সামান্য উপহার দিয়েছি।