চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরিরোজম ইউনিট। আজ বুধবার ভোরে আকবরশাহ থানার পোর্ট লিঙ্ক রোডের বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনুমানিক ৩৩ বছর বয়স্ক সেলিম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জঙ্গল পদুয়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।
গ্রেপ্তারের পর সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মেহনাজ রাহমান একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সেলিমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরিরোজম ইউনিটের উপ-কমিশনার ফারুক উল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত ১৩ জনের মধ্যে ৯ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এর মধ্যে আটজন জানিয়েছে, সেলিম জেএমবির সামরিক কমান্ডার। একারণেই তাকে মূল পরিকল্পনাকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এবং বোমা তৈরির কথা স্বীকার করেছে।
কাউন্টার টেরিরোজম ইউনিট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন লোহাগাড়া থেকে অন্য চারজনসহ মোট পাঁচজন নগরীতে আসেন। এরপর তারা বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যান। এর আগে একটি বাসায় বসে ভিডিও দেখে বোমা তৈরি করে আসামিরা। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বেশির ভাগই গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য দুই তিনজন এখনো পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার ঘটনায় দুই ট্রাফিক পুলিশ ও পথচারীসহ পাঁচজন আহত হন এবং ট্রাফিক বক্সে থাকা বাতির সুইচবোর্ড ধ্বংস হয়। ওই ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে কাউন্টার টেরিরোজম ইউনিট।
ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনার পরদিন আইএস ঘটনায় জড়িত দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। তবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ এটা কখনোই স্বীকার করেনি। বরং দাবি করেছে, এটা স্থানীয় জঙ্গিদের দ্বারা পুলিশের উপর হামলার ঘটনা।