পল্লবী থানায় মহিলা চা দোকানির টাকা হাতালেন এসআই

Uncategorized

রাজধানীর পল্লবী থানায় নিয়ে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে মহিলা চা দোকানির ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সারাদিন থানায় আটকে রেখে এসআই কাজী রায়হানুর রহমান এ টাকা আদায় করেন বলে জানান ভুক্তভোগী মিনারা।

এ ঘটনার একটি অডিও রেকর্ড যুগান্তরের হাতে এসেছে। বিচার চেয়ে মিনারা ২৬ ডিসেম্বর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। সেই সাথে প্রমাণ হিসেবে একটি সিম কার্ডও জমা দিয়েছেন। এতে টাকা লেনদেনের অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।

মিনারা জানান, ওইদিন বেলা ২টার দিকে তিনি সমিতির দৈনিক টাকা আনতে সেলিনা বেগম নামে এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে দেখেন এসআই রায়হান ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করছেন। এ সময় এসআইয়ের নির্দেশে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মিনারা বলেন, থানায় নিয়ে আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে পুলিশ। তা না হলে হিরোইন মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠানোর হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই রায়হান বলেন আমি নাকি মাদক ব্যবসায়ী। এ কথা বলে আমার হাতে হাতকড়া লাগান তিনি। আমার একটি দুধের শিশু আছে। মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আমার স্বামী রাত ১টার দিকে পরিচিত একজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। এ টাকা রায়হান স্যারের হাতে দিলে তিনি আমাকে থানা থেকে মুক্তি দেন। এ সময় জোর করে একটি স্বীকারোক্তি নেন তিনি এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখেন। টাকার অঙ্ক নিয়ে এসআই রায়হানের টিমের সদস্য পুলিশ কনস্টেবল সরোয়ার কামাল ও আনসার নাহিদ আমার এক বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কয়েক দফা দেনদরবার করেন। এ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে। আমি দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচার চাই।

এসআই রায়হানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, মিনারাকে আমি চিনতে পারছি না। ওইদিন সেলিনা বেগম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তার সাথে হয়তো অন্য কাউকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হতে পারে। তবে টাকা পয়সা নিয়ে কাউকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। এডিসি আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *