কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিসে কক্ষের বিছানায় দু’শিশু সন্তানের লাশের সাথে মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঈদগাঁও থানার পুলিশ মরদেহ ৩টি উদ্ধার করে।
জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের নতুন অফিস কৈলাষের ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘরের কক্ষের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত পাওয়া যায় তার স্ত্রী জিসান আকতার (২৫) কে। বিছানায় পাওয়া যায় তাদের দু’মেয়ে সাইফা শহিদ জাবিন (৫) ও সাইফা শহিদ জেরিন (২)’র মরহেদ। বিকাল ৫টার দিকে তাদের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নূর মোহাম্মদ জানান, শহিদুল হক ও তার ভাই জিয়াউল হক লবণের ব্যবসা করেন। বুধবার সকালে লবণ নিয়ে শহিদুল হক মহেশখালী গেছেন বলে জেনেছি। সন্ধ্যায় আমরা যখন পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাই তখনও শহিদুল হক কর্মস্থল থেকে ফিরেননি।
থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, স্থানীয় সূত্রে খবর পায় নতুন অফিস কৈলাষের ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে দু’শিশু সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে দেখতে পায় রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। রুমের খাটে দু’শিশুর মরদেহ পড়ে আছে আর মায়ের দেহটি ঝুলছিলো ফ্যানের সাথে। কি কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শহিদুল হক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অল্পসময়ে ব্যবসায় সফলতা পেয়ে তার পরিবার ভালোই চলতো। কিন্তু পরিবারে কোন ধরণের কলহ ছিলো এমনটি জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েদের বিষ খাইয়ে মারার পর নিজেই ফাঁসিতে ঝুললো শহিদুল হকের স্ত্রী। তবে, কি কারণে, কিভাবে মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, দ্বিতল বাড়িতে জিয়াউল হক নিচে ও শহিদুল হক উপরে বাস করছেন। শহিদুলের শোবার ঘরেই মা-মেয়ের মরদেহগুলো দেখা যায়। তবে উল্লেখ করার মতো কোন পারিবারিক কলহের কথা কেউ জানাতে পারছেন না।