চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফারুক হোসেন (৫১) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে তার লাইসেন্সকৃত পয়েন্ট টুটু বোরের রাইফেল ও ১৩৪ রাউন্ড গুলি। বুধবার ভোর ৫টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ফারুক হোসেন দর্শনা থানা এলাকার বড়শলুয়া গ্রামের মৃত শামসুল আলমের ছেলে এবং স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তিনি আসন্ন তিতুদহ ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, পারিবারিক বিরোধের সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ফারুক হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাফিজা ইয়াসমিনকে লক্ষ করে দু’রাউন্ড গুলি ছোড়েন। নাফিজা ইয়াসমিন এলাকার আরাফাত সরণি বিদ্যাপীঠ নামের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তার কর্মস্থলেই এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে নাফিজা ইয়াসমিন বিদ্যালয়ের শৌচাগারে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।
তিনি আরও জানান, রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। পরে বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় তার লাইসেন্সকৃত টু টু বোরের রাইফেল ও ১৩৪ রাউন্ড গুলি।
এ বিষয়ে ফারুক হোসেন বলেন, ক্ষ্যাপা কুকুর মারার জন্য আমি লাইসেন্সকৃত রাইফেল থেকে ২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছি। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য কুৎসা রটাচ্ছে।