৮৮ ইউপি নির্বাচনে থাকছে না নৌকা প্রতীক; উন্মুক্ত প্রার্থিতা
নিখাদ বার্তাকক্ষ:
আসছে ৩য় ধাপের ইউপি নির্বাচনে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় প্রার্থী উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ এসব নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে দেয়া হবে না নৌকা প্রতীক। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে দলীয় নেতাদের কাছে ধরনা দেয়ার প্রবণতা কমবে ইউপি প্রার্থীদের।
আগামী ২৮শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এদিন ভোট হবে, সারাদেশে এক হাজার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১০টি পৌরসভায়। ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নিরুৎসাহিত ও দলীয় নেতাদের কাছে ধরনা দেয়ার প্রবণতা কমাতে এবারের নির্বাচনে, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের ৮৮টি ইউপিতে প্রার্থীতা উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেয়া এসব জায়গার সংসদ সদস্যেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে নেয়া হয় এ সিদ্ধান্ত। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় বিভাজন দূর করতেই নৌকা প্রতীক না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাদারীপুর-২ আসন সংসদ সদস্য শাজাহান খান জানান,’ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় মনোনয়ন দিলে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়। জনগণের কাছে গিয়ে জনগণের ভোট নেয়া সেই জায়গাটা কিন্তু এখন থাকছে না। এখন নেতাদের পেছনে ধন্না দিচ্ছে।’
প্রার্থীতা উন্মুক্ত থাকলেও এসব ইউপিতে প্রার্থী বাছাই সুশৃঙ্খল হবে, বলছেন, শরীয়তপুর-৩ আসনের তরুন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। তিনি জানান,’আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে প্রার্থীর সংখ্যা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি, এটাই বাস্তবতা। উন্মুক্ত নির্বাচন মানেই না, স্বেচ্ছায় সকলে নির্বাচন করবে। একটা দলের শৃংঙ্খলা রয়েছে। তৃণমূলের সিদ্ধান্ত রয়েছে। সেই মতামত নিয়েই কিন্তু আমরা দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করি।’ এর আগে গোপালগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমও একরই রকম আবেদন করেন। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন,’নিজের মধ্যে প্রতিন্দন্ধীতার মাধ্যমে কর্মী সৃষ্টির একটা সুযোগ হবে।’