নিখাদ বার্তাকক্ষ : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দাফনের সাড়ে চার মাস পর কবর থেকে অক্ষত অবস্থায় এক নারীর লাশ বেরিয়ে এসেছে। বুধবার উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর পারিবারিক কবরস্থানে অক্ষত লাশটির একাংশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে লাশটি সেখান থেকে উদ্ধার করে নতুন স্থানে দাফন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর স্ত্রী (নাম গোপন রাখা হলো) চার মাস ১৬ দিন আগে মারা যান। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সম্প্রতি কালজানি নদীর ভাঙনে ওই কবরের একপাশ ধসে গিয়ে লাশের একাংশ বেরিয়ে এলে এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি একনজর দেখতে উৎসুক জনতার ঢল নামে।
পরে লাশটিকে পুনরায় নতুন কবরে দাফন করা হয়। দাফনের কাজে নিয়োজিত লুৎফর রহমান জানান, লাশের গায়ে কোন দুর্গন্ধ ছিল না। কাফনের কাপড়েও পচন ধরেনি। আগের কাফনেই তাকে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। এ রকম অক্ষত লাশ দেখে তিনি বিস্মিত।
শিলখুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউসুফ বলেন, দাফনের পর দীর্ঘদিন লাশ অক্ষত থাকার অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি। আজ নিজে এটার সাক্ষী হয়ে গেলাম। তিনি বলেন, শুনেছি যে ওই নারী অত্যন্ত ধার্মিক, পরহেজগার ও দানশীল ছিলেন। তিনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন। তার কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনো নিরাশ হয়নি।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, এমনটা হওয়া বিজ্ঞান সম্মত নয়। সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়া দাফনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিক নিয়মেই লাশ পচন ধরবে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশটি বুধবার দুপুরের পর পুনরায় অপর একটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।