নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা এস এম কামাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে যা দিয়েছে, মানুষের কল্যাণে যা করেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আর কেউ তা করতে পারে নাই। জিয়া থেকে খালেদা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিল। তারা বাংলাদেশকে কিছুই দিতে পারেনি বরং দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, করোনার এই মহামারিতে আমাদের প্রত্যেককেই স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে। কারণ, বিএনপি মানুষকে করোনায় কোন সাহায্য করবে না বরং অসহযোগিতা করবে যাতে মানুষ মারা যায়। বিএনপি মানুষের লাশের ওপর দাড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। ওরা চায় শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। সুতরাং আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পর বাধ্যতামুলক করতে হবে। জনসচেতনতাই পারে আমাদের করোনা থেকে রক্ষা করতে।
রবিবার রাজধানীর কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৩ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে জননেতা এস এম কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা শুরু থেকে মানুষের পাশে ছিল ,আছে এবং থাকবে। দেশে যখন গত বছর বছরের ৮ মার্চ করোনা রোগী প্রথম সনাক্ত হয়, তারপর দিন ৯ মার্চ গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে দিক নির্দেশ দেন সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ যেনো ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্ব্যাস্থবিধি মেনে দেশের জনগণের পাশে দাঁড়ায়, জনগণকে সচেতন করায় কাজ করে এবং কেউ যেন খাদ্য অভাবে অসহায় হয়ে মারা না যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মোতাবেক আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন করোনার প্রথম ধাপেই মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।
আপনারা দেখেছেন, সন্তান তার মায়ের লাশ ফেলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে তখন যুবলীগ, ছাত্রলীগের ছেলেরা সেই লাশের দাফন সম্পূর্ণ করেছে। কৃষক যখন তার ধান কেটে ঘরে তুলতে পারে নাই তখন ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছেলেরা তাদের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১কোটি ২৫ লক্ষ্য পরিবারকে আওয়ামী লীগ খাদ্য সহায়তা দিয়েছে এবং ১৫ কোটি টাকা নদদ অর্থ প্রদান করেছে জন নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে।
সরকারি ত্রাণ নিয়ে আমরা কারো কাছে যায় নাই, সরকার তার নিজস্বভাবে সরকারি সাহায্য নিয়ে মানুষের কাছে গিয়েছে আর আওয়ামী লীগ করেছে দলীয় ভাবে।
এসময় জননেতা এস এম কামাল হোসেন আরও বলেন, করোনার শুরু থেকেই যারা অপপ্রচার করেছিল এবং আজও করছে। সেই অপশক্তি সেদিন বলেছিল, ২০ লক্ষ্য মানুষ করোনায় মারা যাবে। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার সততা, দক্ষতা, বিচক্ষণতা, সাহসিকতা, দেশপ্রেমে দিনরাত পরিশ্রম করার মধ্য দিয়ে সরাসরি দেখভাল করছেন। সে করণে এখন পর্যন্ত একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। বিশ্ব নেতৃত্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন আমার আপনার নেত্রী শেখ হাসিনা দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হয়ে ঠান্ডা মাথায় সততার সাথে করোনা মোকাবেলা করে চলেছেন । এই হচ্ছে শেখ হাসিনা। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে। যখন পারেনি তখন তারা করোনা টিকা নিয়েও ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার করেছে।
টিকা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, টিকা নিয়ে
যড়যন্ত্রের খেলায় লিপ্ত বিএনপিসহ কিছু বুদ্ধিজীবী। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় টিকা সংগ্রহ করতে পেরেছি। যেসময় অনেক ধনী দেশগুলো টিকার জন্য হাহাকার করছিল তখনই আমার টিকা পেয়েছি। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব। এখন অনেক দেশ থেকে টিকা এনে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপরও বিএনপি সরকারকে সাধুবাধ না জানিয়ে মিথ্যাচার করছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আবার রাতে অন্ধকারে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিচ্ছে। একদিকে টিকা নিচ্ছে অন্যদিকে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এটাই হলো বিএনপির আসল চরিত্র।
এসময় জননেতা কামাল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। আগামী দিনে দেশের ৮০% লোকা করোনা টিকা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আমাদের নেত্রী। আজকে মাঠে কোন বিএনপি নাই। তারা বলতে পারবে না যে এক ছটাক চাউল নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে টকশোতে বড় বড় গলাবাজী ঠিকই করছে। যখন করোনাকালীন সময়ে দেশে আমফান আঘাতহানে তখনও বিএনপির নেতারা বলেছিলো দেশের ১ লক্ষ্য লোক মারা যাবে। আল্লাহর রহমতে একজন লোকও মারা যায়নি। আপনাদের আমাদের শেখ হাসিনা সারারাত জেগে নামাজ কালাম পড়েছেন। প্রসাশনকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, ২৪ লক্ষ্য মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে দিয়েছে নএবং তাদের আহারের ব্যবস্থা করেছেন।
কদম তলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আব্দুর সাত্তার মাসুদ, মহিউদ্দিন মহি, মোঃ আক্তার হোসেন, গোলাম সারোয়ার কবির, এফ এম শরিফুল ইসলাম, আব্দুল মতিন ভুইয়া, মোঃ রাকিবুল হাসান সোহেল, আনিছুর রহমান সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।