নিউজ ডেস্ক : সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে কর্নেল কমান্ড্যান্টের বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কোর, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট।
আজ শনিবার (১৯ জুন) সকালে বগুড়া সেনানিবাসে বিদায়ী সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়।
বগুড়া সেনানিবাসের আর্মাড কোর সেন্টার ও স্কুলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে সামরিক রীতিতে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর আর্মার্ড কোর, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বিদায়ী কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তার বক্তব্য দেন।
জেনারেল আজিজ আহমেদ তার বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। সেই সঙ্গে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে শাহাদাত বরণকারী সব সেনাসদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আলোকে একটি আধুনিক ও যুগোপযুগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি আর্মার্ড কোর, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স ও বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সংযোজন করেছেন অত্যাধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি।
সেই সঙ্গে আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযুগী প্রশিক্ষণের জন্য তিনি প্রশিক্ষণ সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারসহ প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করেন বলে জানান কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আর্মার্ড কোর, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।