অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (২) : জিআরপি ওসি আলমগীরের, ঢাকার উত্তরা এলাকার ৭ নং সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের ৩১ নং
আলিশান বাড়ীটি দেখে সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন যে ঐ বাড়িটি তার বেতনের টাকায় তৈরি করা হয়নি। এটি তার পৌত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পদ ও নয়। তাছাড়াও ভাংগা হাইওয়ে রাস্তার পাশে ১০ বিঘা জমি কিনছে “ওসি গব্বার সিং” ও “ওসি দস্যু বনহুর” উপাধি খ্যাত ওসি আলমগীর হোসেন । ভূক্তভূগী সাধারণ মানুষেরা অনেকেই আবার তাকে মেজর সিনহার সেই কুখ্যাত খুনি “ওসি প্রদীপের” ছায়াচিত্র বা উত্তরসূরী প্রেত্তাত্তা বলেও তত করেছেন।
সাবেক শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ওসি আলমগীর হোসেন বর্তমানে সিলেট রেলওয়ে জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে দৈনিক নিখাদ খবর এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ১ প্রকাশিত হবার পর। আমরা ধন্যবাদ জানাই রেলওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক জনাব দিদার আহম্মদ বিপিএম পিপিএম ( সেবা) ।
উল্লেখ্য যে, ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম দুর্নীতি মাসহারা ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে জিআরপি ওসি আলমগীর হোসেনর বিরুদ্ধে। উক্ত এলাকার ভূক্তভূগী ও সাধারণ মানুষের পক্ষ হতে বলা হয় অত্যাচারের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার “ওসি গব্বার সিং'” ও ” ওসি দস্যু বনহুর” উপাধি খ্যাত ওসি আলমগীর হোসেন তো বলাই বাহুল্য। তাছাড়া জিআরপি ওসি আলমগীর গংরা নির্লজ্জতার মাথা খেয়ে প্রকাশ্যে ফুটবাজী, ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়ীদের অদূশ্য গডফাদার এবং সরকারী সম্পদ বিনষ্টকারী ও লুটপাটকারীদের মে সিন্ডিকেট রয়েছে তাদের সঙ্গে উক্ত রেলওয়ে থানার ওসিসহ টপ টু বটম সকলেই খুউব দহরমমহরম সম্পর্ক রয়েছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন আমাদের প্রতিনিধির কাছে নাম প্রাকশ না করার শর্তে।উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ হতে বলা হয় অত্যাচারের মাত্রা চরম অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।
রেলওয়ে সিলেট জেলার আওতায় শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে জিআরপি থানা এলাকায় সর্বত্রই এখন আলোচনার বিষয় ওসি আলমগীর হোসেন। প্রায় দুই বছর হলেও একই থানায় আছেন বহাল তবিয়তে। ওসি আলমগীরের অবৈধ সম্পদের হিসাব দাবী করেছেন সমগ্র শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও রেলওয়ে থানা বা জিআরপি এলাকার সাধারণ মানুষ।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে অবৈধ সম্পদের নানান চমকপ্রদ তথ্য। তারা দাবি করেন, সঠিক তদন্ত করলে মিলবে আরও গোপন সম্পদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জিআরপি পুলিশ কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মন্তব্য- সঠিক তদন্ত করলে জিআরপি ওসি আলমগীরের থলে থেকে আরও বিড়াল (অবৈধ সম্পদ) বেরিয়ে আসবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল জিআরপি ওসি আলমগীর সেখানেও তিনি অবৈধ ও অনৈতিক পন্থায় অর্থ উপার্জনের বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেই কিছুদিন মূল পুলিশে চাকুরিও করেন তিনি। তার ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে জিআরপি পুলিশের পোশাককে অবৈধ অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন। তার এমন কর্মকাণ্ড জিআরপি পুলিশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে বলে মনে করেন ঢাকা জেলার একজন জিআরপি পুলিশ কর্মকর্তা। বিভিন্ন উপাধি খ্যাত ওসি আলমগীর বর্তমানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক তার সম্পত্তির মূল্য হিসেবে।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা বা জিআরপি এলাকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে আমাদেরকে বলেন, জিআরপি ওসি আলমগীরের দাপটে অনেকে নীরবে চোখের জল ফেলেছে। দুদকের উচিত তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে বিচারের আওতায় আনা। সাধারণ একজন পুলিশ কর্মকর্তার চাকরি করে এত অর্থবিত্তের মালিক হলেন কী করে, তা বোধগম্য নয়। তাছাড়া জনতার বিনীতভাবে অনুরোধ ও দাবি আইজিপি কম্পেইন সেল ও ডিআইজি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে ওসি আলমগীর হোসেনকে আইনের আওতায় আনা হোক।
জিআরপি পুলিশের ওসি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আলমগীর হোসেন দু’হাতে টাকা উপার্জন করেন। তার অবৈধ উপার্জনের পরিমাণ কয়েক শতকোটি টাকা বলে ধারণা করছি।
ওসি আলমগীর হোসেনের বেতন স্কেল ৩৫ থেকে ৪২ হাজারের মধ্যে। অথচ তিনি ও তার পরিবার ঢাকা শহরে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দামি গাড়িতেও।
ওসি আলমগীর হোসেনের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (চলমান) প্রকাশিত হলে সিলেট রেলওয়ে জেলার তথা শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে জিআরপি থানা এলাকা এবং ফরিদপুরের ভাংগা ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ফোন করে আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। অনুসন্ধান করে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্যও তারা অনুরোধ জানান।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার আবাসিক এলাকার এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তৎকালীন সময়ে জিআরপি পুলিশ সদস্য হিসেবে আলমগীর হোসেন উত্তরার বিভিন্ন অলিগলি চষে বেড়ান। কোথায় কীভাবে অবৈধ অর্থ আদায় করা যায়- এটাই ছিল তার একমাত্র নেশা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা মােঃ আকরাম খাঁন যিনি আবার ফ্রান্স প্রবাসী ও বটে তিনি ভূক্তভূগী ও নির্যাতিত সাধারণ মানুষের পক্ষে জনতাকে সাথে নিয়ে ওসি আলমগীর সাথে দেখা করতে গেলে ওসিকে না পেয়ে ফিরে এসে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের ২নং গেইটের সামনে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ওসি আলমগীর এর বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে উপস্থিত লােকজনের সামনে বিভিন্ন মন্তব্য করেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে আকরাম খান বলেন একটি বিশেষ জেলায় তোর বাড়ি তাই সাধারণ মানুষকে উক্ত জেলার নাম বিক্রি করে ভয় দেখিয়ে তুমি ওসি আলমগীর ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করেছো ? কিন্তু এই এলাকার জনগণ খোঁজ নিয়ে জেনেছে তুমি ও তোমার পরিবার স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনায় বিশ্বাসী নয় অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষের শক্তি।
নেতা আকরাম খান আরো বলেন, মক্কায় ও গাধা আছে। তাই আমাদের আর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
তিনি ওসি আলমগীরকে ভাল হয়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, যদি চরিত্রের পরিবর্তন করতে না পারলে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে জিআরপি থানা থেকে চলে যেতে বলেন। অন্যথায় আমরা জনতাকে সাথে নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবো। যাব ভিডিও ক্লিপ বা রেকডিং আমাদের হস্তগত হয়েছে।
চলমান—————–
বিশেষ দ্রষ্টব্য : অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ৩ খুউব শীঘ্রই পাঠকরা ও যথযথ কতূপক্ষ এবং দূর্ণীতি দমন কমিশনের নজরে আনার চেষ্টা থাকবে দেশ ও জাতির স্বার্থে।