‘
নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি মানিক র্যাবের সংগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ২১ মে সকালে গণমাধ্যমকে তার নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
অধিনায়ক বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত আড়াইটার দিকে মিরপুরের ইষ্টার্ণ হাউজিং এলাকায় র্যাব-৪ এর একটি টিম টহল দিচ্ছিলো। এই সময় টহল টিমকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়া হয়। র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সেখানে একজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। একইংগে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
মোজাম্মেল হক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হলে পুলিশ তাকে চিহ্নিত করে। তার নাম মানিক। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। সে পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকারীদের একজন। এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৫ নম্বর আসামি তিনি এবং সাহিনুদ্দিনকে হত্যার সময় শেষে হাঁটুতে যে কুপিয়েছিলো সে হলো এই মানিক।
সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আউয়ালের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে।
আলীনগর এলাকায় সাহিনুদ্দিনদের আনুমানিক ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেয়ায় খুন হতে হয়।
গত রোববার (১৬ মে) দিবাগত রাতে পল্লবী থানায় আওয়ালকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা আকলিমা। ওই দিন বিকেলে মিরপুর ১২ নম্বর ডি ব্লকের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় বাসিন্দা সাহিনুদ্দিনকে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু তাহের, মো. সুমন, মো. মুরাদ, মো. মনির, মো. শফিক, মো. টিটু, আ. রাজ্জাক, মো. শফিক (২), কামরুল, মো. কিবরিয়া, মো. দিপু, মরন আলী, মো. লিটন, আবুল, সুমন ওরপে ন্যাটা সুমন, কালু, বাবু ও ইয়াবা বাবু।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে।
আউয়ালকে ভৈরব থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় র্যাবের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়। হত্যা মামলায় আউয়ালসহ এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার পুলিশ যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ থেকে সুমন বেপারীকে এবং পল্লবী থানাধীন কালাপানি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আসামি রকি তালুকদারকে। এর আগে পল্লবী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে দিপু ও মুরাদ নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।