অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : আবারও ওসি শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা মোঃ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানাসহ সিলেট রেলওয়ে জেলার অন্তর্গত একাধিক থানায় অধিক সময় ধরে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা ও সদস্যদের অবস্থান করাতে উক্ত থানাগুলোতে ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম দুর্নীতি মাসহারা ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত এলাকার ভূক্তভূগী ও সাধারণ মানুষের পক্ষ হতে বলা হয় অত্যাচারের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার “গব্বার সিং’ ” উপাধি খ্যাত ওসি আলমগীর হোসেন তো বলাই বাহুল্য। তাছাড়া এরা নির্লজ্জতার মাথা খেয়ে প্রকাশ্যে ফুটবাজী, ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি এবং সরকারী সম্পদ বিনষ্টকারী ও লুটপাটকারীদের মে সিন্ডিকেট রয়েছে তাদের সঙ্গে উক্ত থানার ওসিসহ টপ টু বটম সকলেই খুউব দহরমমহরম সম্পর্ক রয়েছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন আমাদের প্রতিনিধির কাছে নাম প্রাকশ না করার শর্তে।উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ হতে বলা হয় অত্যাচারের মাত্রা চরম অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।
ভূক্তভূগীরা গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে আমাদেরকে বলেন, আপনারা জাতীর চতুর্থ স্তম্ভ বা বিবেক এবং সেই কারনেই আপনাদের মাধ্যমে আমরা সিলেট রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের ডি,আই,জি মহোদয়ের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তাতে আমাদের মত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কুখ্যাত ওসি প্রদীপের ছায়াকপি ওসি আলমগীর হোসেন ওরফে গব্বার সিং এর অত্যাচার হতে রক্ষা পাই ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়।
আবার ও শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ওসি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ফুটবাজী চাঁদাবাজি ঘুম গ্রূহণ এবং রেলওয়ের ও সরকারী খাস জায়গায় ফুট বসিয়ে নিয়মিত মাসোহারা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেইসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য ভূক্তভূগীরা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের
কথোপকথন সহ ভিডিও ফুটেজ দিয়েছেন বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন, ঘুষ চাঁদাবাজি বখরা মাসহারা প্রমান হিসেবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত ফুটপাতের দোকানদার সহ রেলওয়ের জায়গায় যেসব অবৈধ দোকানপাটের তথাকথিত লিজ নেয়া ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে বলেন , এক মুরগী বারবার জবাই করেন এই ওসি আলমগীর ওরফে ওসি গব্বার সিং। আমরাতো উনার নির্ধারিত সপ্তাহ বা মাসহারা উনার মনোনীত সোর্সকে নির্দিষ্ট সময়েই দেই কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুজা- পার্বণ ঈদে এবং মোবাইল কোর্টের বাহানায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যেন ওসি আলমগীরের নিজস্ব আইন ও নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন সময় টাকা দিতে বিলম্ব হলে নানান অজুহাতে থানায় ধরে নিয়ে যায়। তখন অধিক পরিমাণ টাকার বিনিময়ে মুক্তি পেতে হয়।
দেশের বিভিন্ন বহুল প্রচলিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও গণমাধ্যম এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আমাদের কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা জানাতে পারি যে , শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ওসি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বহুবার দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অদূশ্য ক্ষমতাবলে সে বহাল তবিয়তে আছেন। এযেন কুখ্যাত ওসি প্রদীপের প্রেত্তাতা বা ছায়াকপি।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ের এস্টেট বিভাগ থেকে ২৫ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হলেও জিআরপি থানা থেকে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি উক্ত ওসি আলমগীর গংরা । ভুক্তভোগী রেলওয়ে কর্মকর্তা ও ফুটপাত ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের উপাধি খ্যাত “গব্বার সিং ” ওরফে ওসি আলমগীর হোসেনের দ্বায়িত্বধীন তথা নিয়ন্ত্রণাধীন জিআরপি শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ বলেছে ‘এ পাথর নষ্টের ঘটনায় তাদের কোন দায়িত্ব নেই’। ওসি বলেন, উক্ত পার্থ তেই অবস্থানে আছে সেই দূরত্বে কোন ঘটনার দায় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের। এবং এই ঘটনায় বাহুবল থানায় মামলা হওয়ার কথা আমি শুনেছি।
শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানাধীন রশিদপুর রেল ষ্টেশন সংলগ্ন গত ১৯ এপ্রিল ২০২১ ইং দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে রেলের কয়েক লাখ টাকার পাথর নষ্ট হওয়ার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুদ্ধ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা যায় রেলওয়ের প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম গত ২২ এপ্রিল ২০২১ ইং জিআরপি ওসি শ্রীমঙ্গলকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি দেন।
এর পারিপ্রেক্ষিতে জিআরপি পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেনের নির্দেশে এসআই হুমায়ন আহমেদ ট্রলি নিয়ে কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন। কিন্তু সেগুড়ে বালি অর্থাৎ অজ্ঞাত কারণে জিআরপি পুলিশের আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সব প্রক্রিয়া থেমে যায়। এইখানেই কবি নিরব। আর সাধারণ মানুষের সাধ্য কি !
আমরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্পূর্ণ করার লক্ষে ওসি আলমগীরের সাথে যোগাযোগর চেষ্টা করে ব্যার্থ হই বারবার । কিন্তু স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও সাধারণ ও রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ব্জিআরপি শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আলমগীর হোসেন নাকি বলেছেন, এস্টেট বিভাগের চিঠির প্রেক্ষিতে তারা তদন্ত করে দেখেছেন ঘটনাস্থল রেল লাইন থেকে ১৫০ ফুট দূরে। আমাদের এখতিয়ারের বাহিরে সেজন্য ঐ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
জনতার প্রশ্ন আমাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রেলওয়ে স্টেশন পাথরগুলি সরকারের সম্পদ , পাথরের তো হাত-পা নেই যে সেগুলো হেঁটে হেঁটে ১৫০ ফুট দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে ওসি আলমগীরক এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য।
তবে রেললাইনের পাথর ১৫০ ফুট দূরে কাদের ইশারায় অটোমেটিক চলে গেল বা নেয়া হলে ? এর দ্বায় কি রেল পুলিশ তথা ওসি আলমগীর হোসেন গংরা এড়াতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নাকি বিরক্ত প্রকাশ করে বলেই চলেছেন সেই মুখস্থ বুলি , পিডাব্লিউ থেকে চিঠিতে যে দূরত্বের কথা বলা হয়েছে সে অনুসারে এটা আমাদের এখতিয়ারে পড়ে না। কত ঘণফুট ও মূল্যের পাথর খোয়া গেছে তাও উল্লেখ করা হয়নি চিঠিতে। একে অপরের উপর দোষারোপের ও ঠেলাঠেলি যদি রাষ্টযন্ত্রের দ্বায়িত্ব বহুল প্রশংসিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা করেন , তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গাটি আর থাকে? এটা বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক মহোদয় এবং যথার্থ কতূপক্ষের কাছে আমাদের দরখাস্ত । বিশেষ বিবেচনার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ ও দূষ্টি আকর্ষণ করছি সাধারণ মানুষের পক্ষে।
আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে রেলের এস্টেট ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার তথ্য প্রমান দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে জিআরপি ওসকে চিঠি দেই। জানতে পেরেছি জিআরপি থানার ওসি তদন্তের নামে আসামিদের সঙ্গে সমঝোতা করে এখন ১৫০ ফুট দূরত্বের আইন দেখাচ্ছেন।
জনাব মনিরুল ইসলাম বলেন, রেল বিভাগের সম্পত্তি যেখানে যেভাবে পড়ে আছে- তার নিরাপত্তার দায়িত্ব জিআরপি পুলিশের। এটা যদি তাদের দায়িত্বে পড়ে বলে আমি মনে করি ও তাছাড়া রেল পুলিশের দায়িত্ব কি? বলে আমাদেরকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি চলমান রয়েছে। পরবর্তী প্রতিবেদন খুউব শীঘ্রই পাঠকরা ও যথযথ কতূপক্ষ এবং দূর্ণীতি দমন কমিশনের নজরে আনার চেষ্টা থাকবে দেশ ও জাতির স্বার্থে।