নিখাদ ডেক্স : জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মিয়ানমারের কারাবন্দি কবি খেত থিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে তার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (৯ মে) তার পরিবারের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
কবিতার মধ্য দিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে তার মৃত্যু নিয়ে জান্তা সরকারের মুখপাত্রের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তার ফেসবুক পেজের তথ্যানুসারে খেত থির বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি লিখেছেন, ‘তারা মাথায় গুলি করে, কিন্তু তারা জানে না বিপ্লব থাকে হৃদয়ে।’
কবির স্ত্রী চো সু বলেন, কেন্দ্রীয় শহর শোয়েবোতে আমাদের দুজনকে শনিবার সশস্ত্র সেনা ও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্রভূমি বলা হয় এই শহরকে।
তিনি জানান, আমাকে তারা জেরা করেছে। তাকেও। তারা বলেছেন, কবিকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি, তার মরদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চো সু আরও বলেন, আমাকে তারা সকালে ফোন দিয়ে মনিয়ায়োতে হাসপাতালে দেখা করতে বলেছিল। আমি ভেবেছিলাম, তার হাত ভাঙা কিংবা অন্যকিছু। কিন্তু আমি যখন হাসপাতালে পৌঁছায়ই, তখন তার লাশ মর্গে। তার অভ্যন্তরীণ অঙ্গ তুলে নেওয়া হয়েছে।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানায়, জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে নির্যাতনে খেত থির মৃত্যু হয়েছে।
মিয়ানমারে পহেলা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে তাকে নিয়ে তিন কবির মৃত্যু হয়েছে। পেশাগতভাবে তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন। কিন্তু কবিতায় মনোযোগ দিতে ২০১২ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
অভ্যত্থানের এক সপ্তাহ পর তিনি লেখেন, আমি কোনো নায়ক হতে চাই না, আমি শহীদ হতে চাই। আমি ভীরু হতে চাই না, বোকা হতে চাই না।