নিখাদ ডেক্স : সরকারের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকারি কোম্পানিগুলোকে নিজেদের অর্থায়নে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সভায় অংশ নেন। এই সভাতেই প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
সভায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসময় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিডেট কোম্পানি (বিটিসিএল) এর ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই সময়ই প্রধানমন্ত্রী সরকারি সংস্থাগুলোকে সরকারি সহায়তা না নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলেন।
এ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিটিসিএল তো আমাদের কোম্পানি। তারা কেন নিজেদের টাকা ব্যয় করতে পারে না? কেন আমরা সরকার থেকে দেব? এটা দীর্ঘদিন চলবে না। আপনারা নিজেদের টাকায় নিজেরা চলবেন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে তারা বলেছে, তাদের সক্ষমতা অর্জন হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি লাভজনক করার জন্য। পরে সামান্য সুদে ঋণ দেওয়ার প্রস্তবনাও হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এইভাবে সরকারি সংস্থগুলো যেন সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর না করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারি এসব সংস্থা বিজনেসের জন্য স্থাপিত। তারা তো লিডিটেড কোম্পানি। তারা যেন নিজেদের আয় থেকে ব্যয় করে। আমরা কতদিন তাদের টাকা দিয়ে চালাতে পারি? সরকারের ফান্ড দিয়ে তাদের চলতে হবে এটা অর্থনৈতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়।’
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেসব সরকারি কোম্পানি আছে, টেলিযোগাযোগে হোক, এভিয়েশনে হোক বা সড়কেই হোক, দীর্ঘদিন তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চালানো ব্যবসায়িক দিক থেকেও সঠিক নয়। আমরা এভাবে কতদিন ক্ষতিপূরণ দেবো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা হলো, এভাবে সহায়তা করা চলবে না। আপনাদের নিজেদের পায়ে নিজেদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আজ বিটিসিএল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা সরকারের ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। প্রধানমন্ত্রী এগুলো নিয়ে প্রায়ই বলেন।’
এম এ মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সুপার স্পেশাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতালের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এটা দীর্ঘদিন ঝুলে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, যে সময় বাড়ানো হয়েছে এরপর যেন না বাড়াতে হয়।