মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার।।
চরফ্যাসনে জোড়া খুন, ভাড়াটে খুনি শরীফূল চট্রগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃত ভাড়াটে খুনি শরীফূল ইসলাম
চরফ্যাসনের আসলামপুর গ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত ভাড়াটে খুনি শরীফুল ইসলাম (২৮)কে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্রগ্রামের চকবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত সোমবার রাতে চট্রগ্রামের চট্টশরী রোডের দেবপাহাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে চরফ্যাসন থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শরীফুল চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের করিমপাড়ার শাহ আলমের ছেলে ।
সে চট্রগ্রামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাসের চালকের কাজ করতো। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক প্রবোধ দাস আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকাশ, গত ৮ এপ্রিল সকালে আসলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরীখালের পাড়ে জামাল ভুইয়ার পরিত্যক্ত বাগান বাড়িতে মাথাবিহীন ২টি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে চরফ্যাসন থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে চরফ্যাসন থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামতের সূত্রধরে পুলিশ চরফ্যাসন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জাফর ফরাজী ছেলে বেল্লাল, তার ভাই কাশেম ও শ^শুড় আবু মাঝিকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী গত ২১ এপ্রিল বিকেলে আসলামপুর গ্রামের মহিবুল্যাহর বাড়ির টয়লেটর সেফটিক ট্যাংকি থেকে বিচ্ছিন্ন দু’টি মাথা এবং ঘটনাস্থলের পাশের সুন্দরীর খাল থেকে খুনে ব্যবহৃত ধারালো দেশীয় অস্ত্র (ছেনী) উদ্ধার এবং গত সোমবার চট্রগ্রাম থেকে ভাড়াটে খুনি শরীফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে করে চরফ্যাসন থানা পুলিশ। এই বিছিন্ন মাথা উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, ৮ এপ্রিল উদ্ধার করা মাথাবিহীন দু’টি দেহের পরিচয় অনেকটা নিশ্চিত করা গেছে। দেহ দু’টি তপন সরকার ও দুলাল সরকার নামে দুই ভাইয়ের ।
যারা চরফ্যাসন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মৃত উপেন্দ্র সরকারের ছেলে। দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করে এদেশের স্বজনদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পৈত্রিক জমি বিক্রি করতে গিয়ে দুই ভাই খুনিদের ফাঁদে পড়ে। জমির ক্রেতা বেল্লাল হোসেন জমির মূল্যবাবদ প্রাপ্য ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আড়াই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করে ঘটায় এই খুনের ঘটনা। নিহতদের পরিচয় গোপন করে নিজেদের রক্ষার কৌশল হিসেবে খুনিরা দেহথেকে মাথা আলাদা করে আগুন দিয়ে দেহগুলো পুড়ে দেয়। খুনের ২৬দিন পর ভাড়াটে খুনিদের একজন শরীফুল ইসলামকে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে চরফ্যাসন থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক প্রবোধ দাস জানান, খুনি একাধিক। অপরাপর খুনিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সব খুনি গ্রেফতারের পর খুনের বিষয়ে বিস্তারিত আরো জানানো হবে।