নিখাদ ডেক্স : দেশের মানুষকে আতংকিত করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের তৎপরতায় করোনা পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই সমালোচনা করছে। টেলিভিশনের সামনে যাচ্ছেতাই বলছে। তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে আতংকিত করা। এজন্য তারা এমন পথ অবলম্বন করেছে যে, বেগম জিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মানুষ যেন আতংকিত হয়ে যায়।
করোনার এই সময়ে বিএনপি নানারকম অপপ্রচার ছড়াচ্ছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন, লকডাউনের নামে এটা ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে নাকি। আমি তো বলি, লকডাউনের নামে ক্র্যাকডাউন না; বিএনপিই ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার মধ্য দিয়ে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, যতই স্যালাইন দেন, ওষুধ দেন, ক্ষমতায় থাকতে যত অন্যায়-অবিচার করেছেন, এই বিএনপিকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কাছে কোনদিন ভরসা পায় না। দিনশেষে বিএনপিসহ সারাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ভরসা তৈরি হয় দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপর।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমরা দেশে দেশে রাষ্ট্রপ্রধানদের দেখেছি আত্মসমর্পণ করতে, চোখের পানি ফেলতে, সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতেও দেখেছি। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে বিশাল চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। সরকারের যথাযথ পরিকল্পনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এখন দেশে করোনা আক্রান্তের হার কমে আসছে। মৃত্যুর হার প্রতিদিন ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল এতোদিন। সেটা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দু’একদিনে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান শেখ হাসিনার মতো সরকারপ্রধান পেয়েছি। এত অভিজ্ঞ সরকারপ্রধান এই মুহূর্তে পৃথিবীতে বিরল। ৪০ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জন্মলগ্ন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার থেকে বেশি সময় দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা কোন নারী নেতৃত্বের নাই। তিনি ইন্দিরা গান্ধী ও মার্গারেট থ্যাচারকে ছাড়িয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিরল পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাসিম।
এর আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিরল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।