নিখাদ ডেক্স : বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফিংহে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সুসর্ম্পক বজায় রাখা ও ভবিষ্যত অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে তাদের সৌজন্য সাক্ষাতে এই আলোচনা হয় বলে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, আলোচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়, সশস্ত্র বাহিনী পর্যায়ে নিয়মিত মতবিনিময় অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করার পাশপাশি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহযোগিতার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ বাংলাদেশের এই পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ সকলের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে সদা বদ্ধপরিকর।”
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতর্বার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরর্দশী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জেনারেল ওয়েই ফিংহে দুই দেশের সুসম্পর্কের গভীরতা ও ব্যাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ককে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ অর্জনে চীনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে চীনের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহায়তার প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেন।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারস্পরকি আলোচনার মাধ্যমে যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ এবং এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন।
আইএসপিআর জানায়, এর আগে চীনা সশস্ত্র বাহিনীর এই প্রতিনিধি দল ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অর্নিবাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।