নিখাদ ডেক্স : ঢাকার গুলশানে উদ্ধার হওয়া কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ কবরস্থানে আছর নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ প্রতিবেশীরা অংশ নেন।
বিকেল ৪টায় তার মরদেহ ঢাকা থেকে কুমিল্লা বাগিচাগাঁওয়ে বড় বোনের বাসায় নিয়ে আসা হয়।
কুমিল্লায় আসার পর মুনিয়ার বড় বোন ইসরাত জাহান তানিয়া গণমাধ্যমকে জানান, মুনিয়া ডায়রি লিখতেন। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি কি আত্মহত্যা, নাকি হত্যা সেটি তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও মুনিয়া আত্মহত্যা করতে পারে এটা মনে হয় না। ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে হয়।
মুনিয়ার জানাজা শেষে স্থানীয় প্রতিবেশীরা গণমাধ্যমকে জানান, মুনিয়ার বাবা প্রয়াত মো. শফিকুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা। দীর্ঘদিন ভাই আশিকুর রহমান সবুজের সাথে মুনিয়া ও তানিয়ার পারিবারিক বিরোধ চলছিল, যে কারণে কুমিল্লায় নিজ বাসায় তাদের যাতায়াত কম ছিল।
সোমবার ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ভাড়া বাসা থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতমাসে ওই বাসা ভাড়া নেন তিনি। তার ওই বাসায় শিল্পপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি প্রায়ই যাতায়াত করতেন। পরে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গভীর রাতে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন ইসরাত জাহান তানিয়া।