যে কারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
মিজানুর রহমান।
মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। যার রক্তে মিশে আছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক জীবনে ক্লিন ইমেজের অধিকারি মোস্তফা কামাল ১৯৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চরকলমি ইউনিয়নের নাংলাপাতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জনাব ফজলুল হক মেম্বার দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ৮ নং কলমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি চরফ্যাসন থেকে বিভক্ত হয়ে নবগঠিত দক্ষিণ চর আইচা থানা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তার চাচা মোহাম্মদ নূরুল হক ৮ নং কলমি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারে বেড়ে ওঠা মোস্তফা কামালের রাজনৈতিক শিক্ষাটি তিনি পরিবার থেকেই পেয়েছিলেন। স্কুল জীবনেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তাকে সবচেয়ে বেশি শানিত করে। পরে চরকলমি আনজুর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল অবদি দায়িত্ব পালন করেন। নজরে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদেরও।
স্কুল জীবন শেষে মোস্তফা কামাল ভর্তি হন বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে। সেখানেও তিনি জানান দেন নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। পরে কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল অবদি।
পরে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভর্তি হন বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বজ্রমোহন সরকারি কলেজে। মেধাবী ও সাহসী সাবেক এই ছাত্রনেতা এসময় ১৯৯৭ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল অবদি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
চৌকস এবং প্রখর মেধাবী ও বলিষ্ট কন্ঠস্বরের অধিকারি সাবেক এই ছাত্রনেতা এরপর নিজ জন্মস্থান বৃহত্তর ৮ নং চরকলমি ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে দায়িত্ব পান। এরপর সম্পূর্ণরুপে ঢেলে সাজান কলমি ছাত্রলীগকে। তার নেতৃত্বে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল হয় কলমি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের নানা খড়গ। সব জুলুম অত্যাচার উপেক্ষা করে নেতৃত্ব দিয়ে যান ছাত্রলীগকে। ২০০৪ সাল অবদি দায়িত্ব পালন করেন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে।
দলের প্রতি আনুগত্য এবং অবিচল কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনি চরফ্যাসন ও মনপুরার গণমানুষের প্রিয় নেতা, উন্নয়নের রুপকার বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জনাব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি’র আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। এমপি জ্যাকব সাহেবের বিশ্বস্থ ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত মোস্তফা কামালকে এরপর দায়িত্ব দেয়া হয় কলমি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। ২০০৯ সালে দায়িত্ব পেয়ে অত্যন্ত বিশ্বস্থতা ও আস্থার সাথে ২০১১ সাল অবদি দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই যুব নেতা। পরে ২০১১ সালে পূর্বের কমিটির মেয়াদ পূরণ হলে তাকে যুবলীগের আহ্ববায়ক করা হয়। ২০১৩ সাল অবদি সেই দায়িত্বও সুনামের সহিত পালন করেন মোস্তফা কামাল।
২০১৪ সালে দায়িত্ব পান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতি হিসেবে। ২০১৮ সাল অবদি পালন করেন তার দায়িত্ব। এরপর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল অবদি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৮ নং চরকলমী ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে তার কর্ম দক্ষতার কারণে তিনি আরো বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীদের মাঝে। পরে ২০১৮ সালে কলমি ইউনিয়ন শাখার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান জনাব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি’র বিশ্বস্থ কান্ডারী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। বর্তমানে তিনি দায়িত্বটি পালন করে আসছেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আসন্ন ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশা করছি দল তার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মকান্ড সুবিচেনা করে তাকে ৮ নং কলমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করবেন। জনগণেরও প্রত্যাশা কলমির আশার বাতিঘর হয়ে আসবেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
ব্যক্তিগতভাবে তার আরো একটি পরিচিতি আছে। তিনি কলমি ইউনিয়নের আনজুর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার সহধর্মীনি মিসেস শাহনাজ কামাল কলি বাগেরহাটের একটি কলেজে অধ্যাপনা করছেন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।