মিজানুর রহমান।।।
নামঃ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব৷ ১৯৭২ সালের ২১ ডিসেম্বর ভোলা জেলার চরফ্যাসন পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এম,এম, নজরুল ইসলাম এবং মাতা বেগম রহিমা ইসলাম। তাঁর স্ত্রীর নাম নীলিমা নিগার সুলতানা।
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ১৯৮৮ সালে চরফ্যাসন সরকারি টি. ব্যারেট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯১ সালে চরফ্যাসন মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে বিএসএস এবং পিপলস ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০০৪ এর মার্চ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চরফ্যাসন উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দশম জাতীয় সংসদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে ১১৮ ভোলা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয় এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি এলাকার উন্নয়নে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন ও নজরুল ইসলাম ইন্সস্টিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান৷ চেয়ারম্যান বাজার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ, শশীভূষণ বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ, দক্ষিন আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ, দুলারহাট নীলিমা জ্যাকব ডিগ্রী কলেজ ও অধ্যক্ষ নজরুল ইসলম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
এছাড়াও তিনি চরফ্যাসন সরকারি কলেজ, চরফ্যাসন সরকারি টি, ব্যারেট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনপুরা কলেজ ও মনপুরা হাজীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহায়তায় সরকারি করনে ভূমিকা রাখেন।
তিনি নিজ এলাকায় চারটি কলেজের দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ, দেওয়ানী/ফৌজদারী ও যুগ্ম জেলা জজ আদালত স্থানান্তর, ৮টি নতুন ইউনিয়ন, ৩টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, ৩টি থানা স্থাপন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুর্ণাঙ্গ বিভাগ স্থাপন, দক্ষিন এশিয়ায় সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার “জ্যাকব টাওয়ার” শিশু পার্ক নির্মান অন্যতম উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। এ ছাড়াও ৪টি সাব রেজিষ্ট্রি ভবন নির্মাণ, ঢাকা-চরফ্যাসন লঞ্চ লাইন চালু, চরফ্যাসন পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীতকরণ, চরফ্যাসন-মনপুরা এলাকা নদীভাঙ্গন রোধ প্রকল্প অনুমোদনসহ ৩ হাজার কোটি টাকার রাস্তা-ঘাট, পুল, কালভার্ট নির্মাণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বহুল প্রত্যাশিত চরফ্যাসন কলেজ ও ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজে অনার্স কোর্স চালু, ভোলার একমাত্র অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বিএড কলেজর ভবনসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং দুলারহাট, শশীভূষণ, দক্ষিণ আইচায় এইচএসসি, এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করে শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এছাড়াও চরফ্যাসনে অত্যাধুনিক ঈদগাঁহ নির্মাণ, চরফ্যাসন খাসমহল জামে মসজিদকে অত্যাধুনিক পরিবেশ ও ভবন নির্মান, চরফ্যাসন কলেজ জামে মসজিদ, দৃষ্টি নন্দন ঈদগাঁহ নির্মাণসহ অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দির উন্নয়নে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ৷ রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত কাজে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ভারত, নেপাল এবং ভুটানসহ বিশ্বের ৫০টির ও বেশি দেশ সফর করেছেন।
তাঁর পিতা মরহুম অধ্যক্ষ এম,এম, নজরুল ইসলাম চরফ্যাসন সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালে চরফ্যাশন-লালমোহন এর একংশ ও চরফ্যাসন মনপুরা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয় ২ পুত্র সন্তানের জনক। ভ্রমণ, সমাজ সেবা, গান শোনা, বৃষ্টির শব্দ শোনা ও নির্জনে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা তাঁর শখ।