প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হয়েছে বলেই দেশ আজ স্বল্পোন্নত কাতার থেকে উন্নয়নশীল স্তরে উন্নীত হতে পেরেছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবেই। করোনা যেহেতু থামাতে পারেনি, বাংলাদেশকে কেউই থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস করে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে তারাই দেশকে অস্থিতিশীল করে। পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শিক্ষার উন্নতির পরিবর্তে অবনতি করেছে। শিক্ষাঙ্গণে অস্ত্রের ঝনঝনানি, শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র ও টাকা তুলে দিয়ে তাদের বিপথগামী করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে তাদের ব্যবহার করেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ এবং গবেষণা-অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।
করোনার কারণে সুরক্ষা দিতেই এক বছর ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষানীতি করে শিক্ষাকে বহুমুখী করেছি। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছি। আমাদের সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়নি। শুধু করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে গত বছর এ সমস্যা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুস্থতার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগে নভোথিয়েটার করে দেব। যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী বিজ্ঞান জানতে পারে। আমরা গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছি। এর মাধ্যমে ব্যয় কমানো, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও বাজারজাতকরণ সহজ হয়। নতুন নতুন পণ্য সৃষ্টি বা উদ্ভাবন করা যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে জলমগ্ন ধান গবেষণা হচ্ছে। স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ফলের উৎপাদন দেশে হয়। এগুলো সবই গবেষণার ফসল। আমাদের মানুষ ও উর্বর মাটি আছে। সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশ গড়বো।’
৯৮৬ গবেষককে বৃত্তি ও ফেলোশিপ দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফেলোশিপের টাকা জনগণের। এটা যেন জনগণের কাজে লাগে, মাথায় রাখতে হবে।’
দেশের সব বিভাগে একটি করে নভোথিয়েটার নির্মাণ, বিজ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে যাতে মানবকল্যাণ নিশ্চিত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।