আসাদুজ্জামান সরদার, সাতক্ষীরা: সুন্দবনের রায়মঙ্গল নদীতে রফিকুল ইসলাম নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১২৬টি লাউভোলা মাছ। প্রত্যেকটি মাছের ওজন ৭ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত। ৫৯০ টাকা কেজি দরে মাছগুলো বিক্রি করে রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতেই ভাগ্য খুলেছে তার।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালি গ্রামের মাছধরা জেলে রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি সুন্দরবন সংলগ্ন রায়মঙ্গল নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নদীতে জোয়ার আসে। সেই জোয়ারে তিনি জাল পাতলে ধরা পড়ে এক ঝাঁক লাউভোলা মাছ। ১২৬টি মাছের ওজন হয়েছে প্রায় ১০৫১ কেজি। শুক্রবার (২২ জানুয়ারী) তিনি ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। একই এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নূর হোসেন গাজী মাছগুলো কিনে শ্যামনগর বংশীপুর সোনার মোড়ের মদিনা ফিসের সত্ত্বাধিকারী হারুনুর রশিদের মৎস্যসেটে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
মাছ বিক্রি করে একসাথে মোটা অংকের টাকা পেয়ে জেলে রফিকুল ইসলামের পরিবারে বইছে আনন্দের জোয়ার।
ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ জানান, সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ভোলামাছ খেতে বেশ সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি এই মাছের চাহিদা ও দাম চড়া হওয়ার মূল কারণ হলো এ মাছের ফুলকা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। গ্রেড অনুযায়ী প্রতি কেজি ফুলকার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ভোলা মাছের ফুলকা দিয়ে প্রসাধনী ও মূল্যবান ওষুধ তৈরী হয় বলে জানান তিনি।