কুমিল্লা (দক্ষিণ): জেলায় শীত না পড়লেও পোশাকের বাজারে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। কুমিল্লার শপিং মলগুলোতে বা রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে সারি সারি পোশাকের দোকানগুলোর দিকে তাকালেই শীত নিবারণে পোশাকের প্রয়োজনের কথা মনে পড়ছে।
শীতের শুরুর দিকে এ সব শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। সে কারণে অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে শীতবস্ত্রের বাজারে ভিড় করছেন। কুমিল্লার কান্দিরপাড়, টমছমব্রীজ এলাকা পর্যন্ত সব জায়গায় শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ও দামের কম্বল।
কুমিল্লার ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মলগুলোতে দেখা যায় এসব পোশাক কিনতে সব ধরনের ক্রেতার ভিড়। কুমিল্লার ইস্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজা সেখানে রয়েছে বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক। সেখানকার ব্যাবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি নূরে আলম ভূঁইয়া বাসসকে বলেন, শীতের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পোশাকে রয়েছে বিশেষ ছাড়। এছাড়াও অন্যান্য শীতপোশাকের উপরও রয়েছে বিভিন্ন মাত্রায় মূল্যছাড়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাদের মাকের্টে শীতকালীন পোশাক আসা শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। যেহেতু শীত এখনও তেমনভাবে পড়ছে না, ক্রেতার সংখ্যা তেমন বেশি না। তবে খুব কমও না।
কুমিল্øার কান্দিরপাড়ে শীতবস্ত্রের দোকান সাজিয়েছেন আকরাম মিয়া। প্রায় দশ বছর ধরে চলছে তার এ ব্যবসা। তবে শীত ছাড়া অন্য সময়টায় তার দোকানে টি শার্ট-গেঞ্জিসহ বিক্রি হয় ছেলেদের নানা ধরনের পোশাক। ঠান্ডা আসার আগে থেকেই আমরা ফুলহাতার পোশাক নিয়ে আসা শুরু করি। প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয় বলেন আকরাম। তিনি বাসসকে বলেন, নানা ধরনের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি শীতের আনুষাঙ্গিক হিসেবে চাহিদা রয়েছে হাতমোজা, পা মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের টুপির। মার্কেটঘুরে শীতের পোশাক কেনার পর টুপি-মোজার দোকানে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তাহমিনা আক্তার। তিনি বাসসকে বলেন, ভাইয়ের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। সামনে কক্সবাজার কিংবা সাজেক যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তাই ভাবছি টুপি কেনা দরকার।
নাজিয়া ফ্যাশনে কর্মরত মঞ্জুর ইসলাম বাসসকে বলেন, শীত ছাড়া অন্য মওসুমে যারা দেশের বাইরে যায়, তারা এখান থেকে গরম কাপড় কেনে। শীতকালে মোটামুটি সবাই ভিড় করে এখানে। শীতকে সামনে রেখে কুমিল্লার ফুটপাতে ও ফ্যাশনপণ্যের বিপণীগুলোতে বসেছে শীতবস্ত্রের পসরা। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করছেন।