খুলনা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ খাদ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
তিনি আজ খুলনায় বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা: আবদুল জব্বার শিকদার এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার দেশকে দরিদ্র করতে চেয়েছে আর শেখ হাসিনা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, খাদ্য বলতে শুধু ধান, চাল, ভুট্টা,গমকেই বোঝায় না, খাদ্যের একটি বড় অংশ হচ্ছে মাছ, মাংস ও শাকসবজি।
তিনি আরো বলেছিলেন, ভিক্ষুকের জাতির কোন মর্যাদা থাকে না। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোটা জাতিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের চেয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে। তিনি উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যার কাছে জাতি নিরাপদ, যার কাছে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিরাপদ, যিনি সততার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, যিনি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না। আসুন আমরা সবাই মিলে তার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হই।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র চালু করেছি। প্রায় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার মৎস ও প্রাণিজাত পণ্য ভ্রাম্যমান কন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে প্রত্যেক বেকারকে আমরা স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তাদেরকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদন কাজে সহায়তা করা হবে।
এ অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, খুলনা বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও খামারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং ফলক উন্মোচন করে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনা’র ৬তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।