ডেস্ক রিপোর্ট।
বিএনপির বাজেট প্রতিক্রিয়া গতানুগতিক পুরোনো গল্প : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির বাজেট প্রতিক্রিয়া আগে ভাগে তৈরি করা মনগড়া,গতানুগতিক পুরোনো গল্প। বৃহস্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবনে বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।
এবারের বাজেট ভিন্ন বাস্তবতায়,ভিন্ন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তৈরি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,এ বাজেট করোনার বিদ্যমান সংকটকে সম্ভাবনায় রুপ দেওয়ার বাস্তবসম্মত প্রত্যাশার দলিল।
সেতুমন্ত্রী বলেন,জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের সাহসী সময়োচিত চিন্তার সোনালী ফসল এই বাজেট।
এবারের বাজেট জনগণের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক উত্তরণের পরিকল্পনা এবং জনবান্ধব ও জীবনঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এতে ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে আজ বাজেট পেশ হলেও দলীয়ভাবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি। কাল শুক্রবার বিকেলে এবারের বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হবে দলের পক্ষ থেকে।
তবে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়ায় ‘দুর্নীতিকে প্রশ্রয়’ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এবারের বাজেটে যে প্রক্রিয়ায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, এটা দুর্নীতিকে চলমান রাখার চেষ্টাই। এই বাজেটে জীবন-জীবিকা ও মানবতার বিষয়টি একেবারে উপেক্ষিত হয়েছে।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন, জিডিপি ও রাজস্ব খাতে যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল। বাজেট বরাদ্দের বড় বড় অংশ নেওয়া হয়েছে, যেগুলো এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ এবং চাইলেই এগুলো উপেক্ষা করা যেত। বাজেটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসার কোনো প্রয়াসই দেখছি না। অথচ দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা, সেগুলোকে বঞ্চিত করে অন্য প্রকল্পে টাকা বরাদ্দের মানে হলো ‘দুর্নীতির ধারা অব্যাহত রাখা’।