গাঙচিল প্রধান সালাউদ্দিনকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ সাভারে থেকে। তার দুই সহযোগিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার ভোরে আমিনবাজারের সালেহপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০০০ সাল থেকে আমিনবাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাঙচিল বাহিনীর। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় তাদের হয় গাঙচিল বাহিনী। ২০১৭ সালে সন্ত্রাসী আনার মারা গেলে গাঙচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন। সালাউদ্দীনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়। সালাউদ্দীন বাহিনী মূলত আমিনবাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাধ, কেরানীগঞ্জ ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবারি, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঐ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হেরোইন, ৫০০ পিস ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা ২০০২ সালে সাভার থানার একজন উপপরিদর্শককে হত্যা, ২০০৭ সালে দুইজন র্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিনবাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্রলুট করে এবং উক্ত মামলার চার্জশিট ভূক্ত আসামীর।
র্যাব জানায়, সালাউদ্দীন বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর বালুভর্তি ট্রলার ও ইটের কার্গোতে ডাকাতি এবং আমিনবাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে মাসকারা বা নিয়মিত চাঁদাবাজি করত। তাছাড়া ঐ এলাকার বড় বড় শিল্পপতিদের ও প্রভাবশালী অবৈধ ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করে বলে জানা যায়। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক কারবারী, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে
অধিপত্য বিস্তার ছিল সালাউদ্দীন বাহিনীর প্রধান কাজ।
র্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি জিয়াউর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা সবসময় নদীতে ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত এবং বেশিরভাগ সময় নদীপথে যাতাযাত করতো বলে স্বীকার করেছে। তাছাড়া ঐ গ্রুপের যাতাযাতের বাহন ছিল ডাবল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। গ্রেফতার পরবর্তী মামলা দায়েরের পর আসামিদের সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সালাউদ্দীন বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারীসহ একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মর্মে তথ্য রয়েছে ই-নিখাদখবর এর কাছে।