কঙ্গনা রানাউত টুইট করে জানালেন “আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমার সময় ফুরিয়ে আসছে” । সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই কঙ্গনা প্রকাশ্যে মুম্বইয়ের মাফিয়া রাজ নিয়ে কথা বলছেন। করণ জোহর থেকে রণবীর কাপূর, মহেশ ভাট, আলিয়া ভাটদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে ছাড়েননি কঙ্গনা। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট এখন ট্রেন্ডিং।
কঙ্গনা আজ টুইট করেন, “আমার বক্তব্যকে মুম্বাইয়ের মুভি মাফিয়ারা একমাত্রিক ভাবছে। আমার সময় ফুরিয়ে আসছে! যে কোনও মুহূর্তে আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু এর মধ্যেও যে সময় বেঁচে আছে সেখানে মুভি মাফিয়াদের কীর্তি সরাসরি প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাব আমি”। সম্প্রতি হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে বয়কট কঙ্গনা বলে ক্যাম্পেন চলছে।
কঙ্গনার টুইটে ভক্তরা তাঁর পক্ষ সমর্থন করে লিখেছেন, কঙ্গনা সত্যি কথা বলার সাহস রাখেন। টুইট বন্ধ করে তাঁর মুখ বন্ধ করা যাবে না। কেউ কেউ বলেছেন, “আপনি টুইট ছেড়ে ইউটিউবে আসুন। আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা আছি আপনার সঙ্গে!”
স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে নেটাগরিকদের ট্রোলের মুখেও পড়েছিলেন কঙ্গনা। তিনি টুইটে সেই ট্রোলের জবাবে বলেছিলেন, “সকলে ভাবতে শুরু করেছেন আমি মোদীজির প্রশংসা করি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আমার বাড়ি কংগ্রেসের বাড়ি। আমার দাদু সারা জীবন কংগ্রেস করেছেন।‘গ্যাংস্টার’-এর পর থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার অফার আমার কাছে আসতেই থাকে।
‘মণিকর্ণিকা’ করার পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবও আমি পাই। কিন্তু আমি আমার অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই। তাই কোনও ব্যক্তির কাজকে স্বাধীন ভাবে সমর্থন করার অর্থই যে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া, এই অনর্থক ট্রোলিং এ বার বন্ধ হোক।”
টুইটে কঙ্গনার জনপ্রিয়তাই কি তবে তাঁর অ্যাকাউন্টকে আতস কাচের নীচে নিয়ে আসছে?