আমদানি-রফতানিসহ অর্থনীতির সকল সূচক ইতিবাচক থাকলে চলমান কোভিড মহামারীর মধ্যে চলতি অর্থবছরে কাঙ্খিত পর্যায়ের রাজস্ব আহরণ সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির অন্যান্য চালক ইতিবাচক থাকলে আমরা করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণ করতে পারব। এর জন্য উপজেলা পর্যায়ে অফিস স্থাপন, নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ ও রাজস্ব প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো করযোগ্য সবাইকে করের আওতায় নিয়ে আসা।’
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতেও বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আয় ভালই হয়েছে। এ সময়ে ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব এসেছে। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছর একটি শক্তিশালী বছর ছিল, তখন রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং করোনার মধ্যে আমরা রাজস্ব আহরণে তেমন পিছিয়ে ছিলাম না।
তিনি আরও জানান, স্বাভাবিক সময়ে যেভাবে কর আহরণ হওয়া উচিত ছিল, এখনও সেভাবে বা সেই হারে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মুস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস) গত অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) অর্জনের ৫ দশমিক ২৪ শতাংশের প্রাথমিক যে হিসাব প্রদান করেছে, সেটা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা গত ৫ বছর ধরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের বিষয়ে যে হিসাব দিয়ে আসছি, তার সবগুলো সঠিক ছিল। কারণ আমাদের হিসাব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করা হয়। অনুমান নির্ভর নয়।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানান,আগামী ২৫ আগস্ট ইএফডি মেশিন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। এদিন ১০০টি মেশিন স্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ইএফডি মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে অটোমেশনের যে দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা পূরণ হতে চলেছে