জাতির পিতার মৃত্যু হয় না কখনও

জাতীয় প্রচ্ছদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে হত্যা মামলায় সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের গভ. প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল আইনজীবী হিসেবে আমার জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ ও ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের টিমের গভ. চীপ প্রসিকিউটর ছিলেন বিজ্ঞ কৌশুলী জনাব আনিসুল হক। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও শোকের মাস আগস্টে বাঙালী জাতির বেদনা বিধুর সময়ে একান্তই অমার স্মৃতি থেকে কিছু কথা লেখার এই ক্ষুদ্র প্রায়াস। আগেই বলে রাখা ভাল যে, আমি পেশাদার লেখক বা সাংবাদিক নই।

প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনের একজন প্রাক্তন কর্মী, আইনজীবী ও বিচারক হিসেবে লেখালেখির অভ্যাস একেবারেই সীমাবদ্ধতার গ-িতে আবদ্ধ, লেখার ধারাবাহিকতা নিয়েও আমি চিন্তিত। কারণ স্বল্প পরিসরে ১৫ আগস্ট ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বাস্তবতার নিরিখে মোটেও সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ, কর্ম, দেশপ্রেম, মানুষের ভালবাসা, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, বিদেশনীতি, স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ নির্মাণে তার চিন্তা স্বল্প কথায় লেখা কি সম্ভব? এ প্রবন্ধে আমি সংক্ষিপ্ত আকারে এলোমেলোভাবে কিছু কথা স্মৃতি থেকে লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে তৎকালীন সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য বাঙালী জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। ঘাতকদের হাতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, ৮ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল ও বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসেরকে ধানমণ্ডির ৩২নং বাড়িতে বুলেটের আঘাতে ওরা ক্ষতবিক্ষত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা যুবসমাজের অহঙ্কার মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে একই রাতে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব শেরনিয়াবাতসহ আরও অনেককে হত্যা করে উল্লসিত হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর জীবন রক্ষার জন্য এগিয়ে আসা সামরিক অফিসার কর্নেল জামিলকেও ঘাতকরা হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর আদরের দুলালী দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনীরা ক্ষমতায় বসালো তাদের ফরমায়েশি সরকারের প্রধান করে বিশ্বাস ঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমেদকে। জাতির পিতার খুনীদের বাঁচানোর জন্য মোশতাক ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করে। কিন্তু তার ক্ষমতাও বেশি দিন টেকেনি। একই বছর ৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনীরা খন্দকার মোশতাককে ক্ষমতাচ্যুত করে ওরা নিজেরাই ক্ষমতা দখল করে নেয়। জেনারেল জিয়াউর রহমান বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে চাকরি দিয়ে খুনীদের শুধু পুরস্কৃত নয় বরং জেনারেল জিয়া ইনডেমনিটি বিল সংসদে পাস করিয়ে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে বলা হয়েছে;

‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তারিখের (উভয় দিন সহ) মধ্যে প্রণীত সকল ফরমান, ফরমান আদেশ, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন অধ্যাদেশ ও অন্যান্য আইন এবং উক্ত মেয়াদের মধ্যে অনুরূপ কোন ফরমান দ্বারা এই সংবিধানের যে সকল সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন ও বিলোপসাধন করা হয়েছে তাহা এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করতে গিয়া কোন আদালত ট্রাইবুনাল বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত কোন অদেশ কিংবা প্রদত্ত কোন দ-াদেশ কার্যকর বা পালন করবার জন্য কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত আদেশ কৃত কাজকর্ম গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ অথবা প্রণীত, কৃত বা গৃহীত বলিয়া বিবেচিত আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কাজকর্ম সমূহ এতদ্বারা অনুমোদিত ও সমর্থিত হলো এবং ওই সকল আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কর্মধারাসমূহ বৈধভাবে প্রণীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইল এবং তদসম্পর্কে কোন আদালত ট্রাইবুনাল বা কর্তৃপক্ষের নিকট কোন কারণেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’

জিয়াউর রহমান সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বৈধতা দেয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকা-ের খুনীরা বিচারের দায় থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর বিচারপতি আব্দুস সাত্তার, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলেও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি আর বাতিল করেনি। যা সভ্য সমাজে এক অসভ্য আইন। বাংলাদেশ ফিরে গেল পাকিস্তানী আচার বিচারে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানি করে যুদ্ধাপরাধীরা স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নিল। তারা সমূলে মুছে ফেলার চেষ্টা চালালো জাতির পিতার দেশপ্রেম, বাঙালী জাতির মুক্তি সংগ্রামে তাঁর অসামান্য ত্যাগ ও নির্ভিক অবদানের ইতিহাসকে। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা। কিন্তু ক্ষমতা দখল করে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়া হলো বিকৃত ইতিহাস, ছাত্র সমাজের হাতে বই খাতা কলমের পরিবর্তে অঢেল টাকা ও আগ্নেয়াস্ত্র। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে সরিয়ে পাকিস্তানী কায়দায় গড়ে তোলার এক মহা কর্মজজ্ঞ শুরু হলো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে।

শত ঝড় ঝাপটা উপেক্ষা করে নির্বাসিত জীবন থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এলেন জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। হাল ধরলেন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠনের। ছাত্রনেতা হিসেবে নেত্রীর আগমনে স্বাগত জানাতে আমরা বিমান বন্দরে লাখো জনতার কাতারে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। একদিকে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার আনন্দ, অন্যদিকে স্বজন হারানোর বেদনায় প্রকৃতি ও আমাদের চোখের জলে একাকার হয়েছিল সমগ্র ঢাকা। আকাশ ভেঙ্গে অঝোরে বর্ষণ নেমেছিল। লাখ লাখ ছাত্র জনতার চোখের পানির সঙ্গে প্রকৃতি একাকার হয়ে ঢাকাসহ সমস্ত দেশ পানিতে ভেসে গিয়েছিল সেদিন। স্মৃতিকথা আজ নাইবা লিখি। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর ক্ষমতাসীন সরকার স্বাধীনতা বিরোধী ও জাতির পিতার খুনীদের গাড়ি/বাড়িতে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা লাল সবুজের পতাকা উড়ানোর সুযোগ করে দিল, যারা হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধারা নিজের ঘরে পরবাসী হলো। মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। জাতির পিতাকে সর্বতোভাবে অবমাননা করা হলো তাঁর বাংলাদেশে। অনুসারীদের এদেশে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো। নেত্রী দেশে এলেন, ঘরে বাইরে শুরু হলো আবার নতুন ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা সিদ্ধান্তে অনড়। লক্ষ-কোটি নেতাকর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সামনের দিকে পথ চলা শুরু করলেন। অনেকে ছিটকে গিয়ে ভিন্ন দল গঠন করে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি, ফিরেছে নেত্রীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে একত্রিত করে শেখ হাসিনার পথ চলা এগিয়ে চললো। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের পর গভীর ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৮১ সালের জাতীয় নির্বাচনে সরকারে যেতে পারলেন না বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। নব উদ্যমে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সংঘটিত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সুদীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন শেখ হাসিনা।

২৩ জুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ রহিতকরণ বিল ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন এবং একই বছরের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিল পাসের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা স্বপরিবারে হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি দেশের প্রচলিত আইনে আর দশটি সাধারণ হত্যা মামলার মতোই বিচারকার্য শুরু হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫০ কার্যদিবস মামলার শুনানি গ্রহণ করে ৮ নভেম্বর ১৯৯৮ সালে ২০ জন আসামির মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেন। ডেথ রেফারেন্স শুনানি করতে হাইকোর্টের বিচারপতিবৃন্দ কয়েক দফা বিব্রত হওয়ার পর গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোঃ রুহুল অমিন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৫ জনের মধ্যে ১০ (দশ) আসামির মৃত্যুদণ্ডবহাল রাখেন।

অপর বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ অনুমোদন করেন। অনুরূপ অবস্থায় বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম তৃতীয় বিচারপতি হিসেবে ১২ জনের মৃত্যুদ- অনুমোদনের রায় দেন। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটির আপীল বিভাগে শুনানির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সালের শেষ পর্যন্ত সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে জাতির পিতার হত্যা মামলার শুনানি হয়নি। ওই সময়ে সুদীর্ঘ আট বৎসর কাল সুপ্রীমকোর্টের সাংবিধানিক কার্যক্রম কি স্থগিত ছিল? দেশের সকল মানুষ আদালতে বিচার পায়, কিন্তু জাতির পিতা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়ে কি অপরাধ করেছিলেন? জাতি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেল না? ওই সময় কি বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা ছিল? না বিশ্বে কোভিড-১৯ এর মতো কোন মহামারী ছিল? যারা বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রক্রিয়া বিভিন্ন অজুহাতে বারবার বন্ধ করে রেখেছিল, তারা কি কোনদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন? এসব নানা প্রশ্নের কোন সমাধান নেই।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ৫ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্তদের দায়ের করা আপীল শুনানির জন্য ৫ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। ২৯ কার্যদিবস আপীলটি শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হয়। আর এই রায়ের মধ্য দিয়ে সামগ্র বাঙালি জাতি কিছুটা হলেও ইতিহাসের দায়মুক্তি পায়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার সময় মামলায় নিযুক্ত সরকারী কৌঁসুলি হিসেবে আমার অনুভূতি অল্প কথায় বর্ণনা করা দুঃসাধ্য বৈকি?

বঙ্গবন্ধু সশরীরে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর আদর্শ, বাঙালি জাতির হৃদয়ে চিরজাগ্রত আছে। তিনি অমর, জাতির পিতার কখনও মৃত্যু হয়নি। তিনি বেঁচে থাকবেন হাজার বছর। সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মণিকোঠায় তিনি কালের বিবর্তনে ক্রমান্বয়ে অধিক সম্মানের আসনে উদ্ভাসিত হবেন। মানবতাকামী বিশ্বনেতার জন্মশতবার্ষিকীর আগস্ট মাসে তার লক্ষ-কোটি সন্তান অনুসরণ করবে জাতির পিতার আদর্শকে। গড়ে তুলবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে যেন না কাঁদে এটিই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় নিযুক্ত সরকারী কৌঁসুলি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *