অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যাতে দ্রুত সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে যেসব দেশ ভ্যাকসিন বাজারজাত চূড়ান্ত করছে তাদের মধ্যে রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশ ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ভ্যাকসিন আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রয়েছে।
বুধবার (১২ আগস্ট) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কথা বলেন। এসময় তিনি রাশিয়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং তা মানুষের শরীরে প্রয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর পরমার্শ চান। এরই সূত্র ধরে বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসবেন। তারপর চূড়ান্ত হবে, আমরা কাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবো। আমরা জানি রাশিয়া ছাড়াও চীনসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অনেকটা এগিয়ে গেছে। এটা বিশ্ববাসীসহ বাংলাদেশের জন্যও একটি সুখবর। আমার চেষ্টা করবো, যে দেশ আগে এ ভ্যাকসিন বাজারজাত করবে তাদেও সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত আনার জন্য।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারবো। তার আগে কিছু বলা ঠিক হবে না। কোনো একক সোর্স থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার পরিবর্তে আমরা একাধিক সোর্স থেকে সংগ্রহের চেষ্টা করবো। ইতোমধ্যে ভারত অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আমারও চেষ্টা করবো। যদি অক্সফোর্ডেও সঙ্গে সম্ভব না হয় তা হলে ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ করবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি মনিটরিং করছেন। আর এ জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে