লেবানন সরকারের পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক

প্রবল আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করল লেবানন সরকার। সোমবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় সরকারের পদত্যাগের ঘোষনা দেন প্রধানমন্ত্রী হাসানা দিয়াব। বিকেলে দেশটির কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর সংসদ সদস্যরাও পদত্যাগ করতে শুরু করেন।

বৈরুতে বিস্ফোরণের জেরে লাখ লাখ বিক্ষোভকারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেন, সরকারের বেশিরভাগই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের নিয়ে বেশিদূর চলা অসম্ভব। তাই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।
রাজধানী বৈরুতের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা, অর্থনৈতিক সঙ্কট, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই সরকার পদত্যাগ করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ পরিচালনা করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

পদত্যাগের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব প্রেসিডেন্টের কাছে মন্ত্রিসভার সব সদস্যের স্বাক্ষর করা পদত্যাগ পত্র জমা দেন বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান। এর মাধ্যমে পুরো সরকার পদত্যাগ করলো। যুক্ত করেন হাসান।
লেবানন গত এক দশক ধরে চরম অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জড়িত। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের থাবায়ও নাজেহাল অবস্থা। মুদ্রার মান তলানিতে ঠেকায় বহু বিদেশি শ্রমিক লেবানন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘদিনের সমস্যার সঙ্গে বৈরুতের বিস্ফোরণ সঙ্কট আরও প্রবল করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ দমাতে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় রণক্ষেত্র রাজধানী। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
গেল ৪ আগস্ট লেবাননের বন্দরের গুদামে বিস্ফোরণে ২৪০ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক। আহত হয়েছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *