ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ ৪০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ ও নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের মুছলেন্দপুর গ্রামে পৃথক এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে।
সদর থানার পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ গ্রামে দু’দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ,৩ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা ও ভর্তি হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ৩ দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে।
এ দিকে হাঁস আটক করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের মুছলেন্দপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা।
এলাকাবাসী জানান, মুছলেন্দপুর গ্রামের সড়কপাড়ার রজব আলীর একটি হাঁস একই গ্রামের দক্ষিনপাড়ার হোসেন মিয়ার ঘরে গেলে তারা হাঁসটিকে আটকে রাখে। এ নিয়ে রজব আলীর স্ত্রী আমেনা খাতুনের সাথে হোসেন মিয়ার স্ত্রীর কথা-কাটাকাটির জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আমেনা খাতুন-(৬৫), রজব আলী-(৭৫), জিল্লু মিয়া-(৩২), তামিম-(০৮), রুবিনা খাতুন- (২০), ফারজানা বেগম- (১৯), নেহেরা খাতুন- (২২), পুতুল বেগম- (১৭), মুলেদা খাতুন-(৩০), হেলেনা বেগম-(৩৫) ও পারভীন-(৩৫) আহত হন। তাদেরকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিসুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।