গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৬ কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ৬ কারারক্ষী হলেন, সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. আহম্মদ আলী, কারারক্ষী মো. হক মিয়া, কারারক্ষী মো. আলী নূর, কারারক্ষী সজিব হোসাইন ও নবীন কারারক্ষী আনোয়ার হোসেন।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে একই ঘটনায় কারাগারে দায়িত্ব পালনের অবহেলায় ১২ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মোহাম্মদ বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া কয়েদির নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার তেথের আলী গাইনের ছেলে। আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে কারাগারে বন্দী ছিলেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের সময় থেকে কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিককে কারাগারে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কারাগারের ভেতর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক এই কারাগারের ভেতর সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন। পরে তাকে সেখান থেকে খুঁজে বের করা হয়।
জেল সুপার আরো জানান, কয়েদির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারাগারে দায়িত্ব পালনের অবহেলায় ১২ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৬ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন জানান, কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই কয়েদির বিরুদ্ধে বিকেলে মামলা দায়ের করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।