টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ছবি: প্রতিনিধি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মুজিববর্ষে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আমরা ফাঁসির রায় কার্যকর করেছি। এখনও যেসব খুনিরা বাইরে আছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যোগাযোগ চলছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠিও দিয়েছেন। আমরা আশা করছি, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আরও অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করব।
শুক্রবার দুপুরে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমাদের নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ৯৯ বাংলাদেশি আহত হয়েছে। সেখানকার প্রায় ৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তীব্র খাদ্যসংকটও দেখা দিয়েছে। আমরা মেডিকেল টিম পাঠাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইতোমধ্যে ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের মেডিকেল টিম সেখানে পৌঁছেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে আমরা চাল, বিস্কুট ও নুডলসসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত রেখেছি। যে কোনো মুহূর্তে ফ্লাইট রওনা হবে।
বিস্ফোরণে নিহত চার বাংলাদেশির মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের তো না আনার কোনো কারণ নেই। তবে সেখান থেকে আমাদের দেশে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। এ অবস্থায় লাশ আনতে খরচও অনেকগুণ বেশি, প্রায় ১২ হাজার ডলার। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে।
করোনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা দেশে ফিরেছেন তাদেরকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও নাকিব হাসান তরফদার, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক বাবুল সেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস ও পৌর মেয়র শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন।