নিখাদ ডেক্স : মহামারি করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালে ও যিনি ছিলেন রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড তিনি বর্তমানে প্রথম সারির সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে বিশেষ ও অন্যতম কাণ্ডারী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী মহোদয় ড. হাছান মাহমুদ ।
করোনাকালীণ সময়ে ঝুঁকি নিয়েও তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। নিজ নির্বাচনী এলাকায় এই করোনায়ও মাঠে সক্রিয় ছিলেন ও আছেন তথ্যমন্ত্রী মহোদয় ড. হাছান মাহমুদ । ড: হাসান মাহমুদ করোনা সংকটে গণমাধ্যম কর্মী ও সাংবাদিকদের পাশে দাড়িয়েছেন বটবৃক্ষের মত। উল্লেখ্য যে, তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই পর্যন্ত অসংখ্য ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমালোচক ও সুধীজনদের প্রশংসা পেয়েছেন বারবার।
সর্বশেষ ড. হাছান মাহমুদ সমাদৃত হয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল,অনলাইন টিভি- রেডিও সহ বিভিন্ন অনুমোদিত ও বেঙ্গের ছাতা এবং আগাছার মত গজিয়ে উঠা প্রতিষ্ঠান গুলিকে একটি সরকারি নীতিমালার ভিতরে আনার চেষ্টায় আইন এবং নিবন্ধনপ্রাপ্তির সুযোগ দিয়া অনন্য দৃষ্টান্ত রাখেন। এতে করে অনেক মানুষের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ ও সৃষ্টি হয় বা হবে। তাছাড়া তিনি করোনার কারনে টানা পয়ছষ্টি দিন লকডাউনের সময়ে অসুবিধায় পড়া গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন অভিভাবকের মত। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে এবং দিকনির্দেশনা মোতাবেক এককলিন ন্যুনতম দশহাজার টাকা গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন। এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে ও সারাদেশে জেলাভিত্তিক বহু গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকদের নগদ প্রনোদনার টাকা দেয়া বা পরিশোধ করা হয়েছে। পাশপাশি গণমাধ্যম মালিকদের অনুরোধ করেন এ সময়ে কাউকে ছাঁটাই না করতে এবং সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে। আর সেটা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে গণমাধ্যমের পাওনাগুলো পরিশোধ করতে তিনি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের কাছে চিঠিও দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী মহোদয় হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশী চ্যানেলে অনুমতি ছাড়া দেশী বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধের কাজটি নিশ্চিত করেন। দেশের স্বার্থে এ সংক্রান্ত আইন প্রয়োগে দৃঢ়তার নীতি গ্রহণ করেন। পূর্বে ক্যাবল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের বারবার বলা সত্ত্বেও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সাজানো হয়নি কখনোই। নেটওয়ার্ক অপারেটররা তাদের মর্জি মাফিক চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক করতো এবং সামনের দিকে স্থান পাবার জন্য এমনকি কোন এলাকায় টিভি চ্যানেল যাতে দেখা যায় সেজন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতার নানা অভিযোগ ছিল।
তথ্যমন্ত্রী মহোদয় ড. হাছান মাহমুদ প্রত্যেক জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়ে এটিকে নিয়মের মধ্যে এনেছেন। এখন ক্যাবল নেটওয়ার্কে দেশের টিভি চ্যানেল সবার আগে এবং সেগুলো তাদের সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী পরপর সাজানোর ব্যবস্থা হয়েছে। এতদিন অবৈধ ডিশ টিভির দৌরাত্ম্যে বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে নানা উপায়ে চলে যেতো।
তথ্যমন্ত্রী মহোদয় একটি আগাম নোটিশ ও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এ অব্যবস্থাপনার অবসান ঘটিয়েছেন। এতে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা লোকসান রোধ করা গেছে। টেলিভিশনের টিআরপি নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে এদেশে অরাজকতা চলছিলো। তথ্যমন্ত্রী মহোদয় এ বিষয়েও দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি নিয়মতান্ত্রিক গবেষণার মাধ্যমে যাতে সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রতিফলিত হয়, সেজন্য রাষ্ট্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসব বিশেষ উদ্যোগ ছাড়াও দেশের সব ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তদারকির জন্য স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সম্প্রচার আইন প্রণয়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী মহোদয় ড. হাছান মাহমুদ এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত তাগাদা দিচ্ছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেলিভিশন গত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে দূরদর্শন ফ্রি ডিশের মাধ্যমে সমগ্র ভারতে সম্প্রচার চালু হয়েছে। পারস্পরিক এ সহযোগিতা বিস্তৃত হয়েছে বেতারের ক্ষেত্রেও। এ বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে প্রথমবারের মতো সমগ্র ভারতে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান দৈনিক ৪ ঘন্টা সম্প্রচার ও বাংলাদেশ বেতারে আকাশবাণীর অনুষ্ঠানের অনুরূপ সম্প্রচার চালু হয়েছে।
করোনা মহামারির টানা লকডাউনের পুরো সময়টা জুড়ে তিনি তার দফতরে উপস্থিত ছিলেন, এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনে ছুটির দিনগুলোতে নিজ নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। তার নিজ এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি করোনা বিষয়ক চট্টগ্রাম বিভাগ সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া নিয়মিত দলীয় কর্মকাণ্ড তদারকের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দলের কর্মকাণ্ড তদারকি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে কাজ করে যাচ্ছেন এই সভ্যস্বাচী মানবিক নেতা।
রাঙ্গুনিয়ার গণমানুষের আস্থা এবং ভালবাসার প্রিয় ঠিকানা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী মহোদয় ড. হাছান মাহমুদ । চট্টগ্রাম নির্বাচনী নিজ এলাকা রাঙ্গুনিয়া সাধারণ মানুষের সাথে জানায়, আমরা এখন ঠিকমত তিন বেলা খেতে পারি। করোনার কঠিন সময়ে আমাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী মহোদয়। আমাদের এই কঠিন দুর্ভোগ বুঝতে দেননি ড: হাসান মাহমুদ।তিনি নিজেই মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। সবসময় যে কোন দুর্যোগেই আমাদের পাশে থাকেন মর্মে জানান এলাকাবাসী ।
এলাকাবাসী আরো বলেন, এই সভ্যস্বাচী জনদরদী নেতা ড. হাছান মাহমুদের আলোয় আলোকিত ও উন্নয়নের জোয়ারে আজ রাঙ্গুনিয়ায় যাদের ঘর নেই, যেসব মধ্যবিত্ত কষ্টে আছেন তাদের নিজে খুজে খুজ সহয়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। সৃষ্টিকর্তা একজন সভ্যস্বাচী মানবিক মানুষ সৃষ্টি করেছেন আমাদের এই রাঙ্গুনিয়ার জন্য। কখনো এই উন্নয়ন সম্ভব হতো না যদি তিনি রাঙ্গুনিয়ায় জন্ম না নিতেন। সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি জায়গায় একজন নেতৃত্ববান মানুষ সৃষ্টি করেন মানুষের প্রয়োজনে তারই জলন্ত উদাহরণ ড:হাসান মাহমুদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এবং তার ইস্পাত কঠিন ও যুগান্তকারী তদারকীতে এই অভূতপূর্ব উন্নয়নে আজ আমাদের প্রিয় রাঙ্গুনিয়া বাংলাদেশের মধ্যে একটি সৌন্দর্যময় উপজেলা হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিত লাভ করেছে।
রাঙ্গুনিয়ার এই উন্নয়ন সফলতার অগ্রজ ড: হাছান মাহমুদ কে স্মরণ রাখবে রাঙ্গুনিয়াবাসী আজীবন। কিছু মহৎ ব্যক্তির কিছু কর্মের ধারা মানুষ তাদেরকে ভুলতে পারেনা তেমনিই একজন তিনি। এই অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নে প্রশংসার দাবিদার হয়েছেন তথ্যমন্ত্রী মহোদয়।
বাংলাদেশের মানচিত্রে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আদর্শ উন্নত শ্রেষ্ট উপজেলা হিসেবে জ্বলজ্বল করছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। বৃহৎ রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি,হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের পরেও কর্ণফুলী নদীর পারের বসবাসরত মানুষের কথা চিন্তা করে যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি, তা রাঙ্গুনিয়াবাসী কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। রাঙ্গুনিয়ার অবাল বৃদ্ধাবনিতা জনতা আরো বলেন মানুষ আজীবন ড: হাসান মাহমুদকে মনের গৃহীনে রাখবে এবং উনার ন্যায়নিষ্ট সাহসী নেতৃত্বকে উজ্জিবীত ও প্রসারিত করতে রাঙ্গুনিয়ার গণমানুষের দোয়া ও শুভকামনা থাকবে আজীবন ।