প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আকাশ পথের যাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত এখন বিমানবন্দর। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফিরে যাচ্ছে তাদের কর্মস্থলে, আবার ফিরছে অনেকেই নিজ দেশে। ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সব সময় সরগরম থাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জনশূন্যে পরিণত হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আকাশপথ বন্ধ থাকায় ছিল না যাত্রীদের পাদচারণা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হওয়ায় সেই চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। যাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে বিমানবন্দরটি। শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বন্ধ থাকলেও বিশেষ ফ্লাইট চালু ছিল। কুয়েত, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আটকে পড়া লক্ষাধিক বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে কয়েক দফা বাড়িয়ে গত ৩০ জুন পর্যন্ত বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইউএই, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সব ফ্লাইট বন্ধ ছিল। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল খুলে দেওয়া হয় গত ১ জুন থেকে। কিন্তু যাত্রী সংকটে সেটিও বন্ধ করে দেয় বিমান। গতকাল থেকে বিমানের ফ্লাইট ফের চালু হয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটে। এ অবস্থায় ফ্লাইট চলাচলের বিষয়ে ১৮ জুন বেবিচকের জারি করা সর্বশেষ সার্কুলারে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্ক ছিল। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে এই দেশগুলোর এয়ারলাইনসকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগ সূত্র জানায়, করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে ৭ জুলাই (৬ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রী পরিবহনের (কমার্শিয়াল প্যাসেঞ্জার) ফ্লাইটগুলো বাংলাদেশের কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে না। তবে দেশগুলো থেকে কার্গো, বিশেষ ফ্লাইট ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অবতরণ করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে গত ২১ মার্চ প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ। বর্তমানে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, কাতারের দোহা এবং চীন রুটে ফ্লাইট চলাচলে বেবিচকের অনুমতি রয়েছে।