করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে ১৬০টি অভিযোগ পেয়েছে র্যাব।
এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, চাকরির আশ্বাসে অর্থ আত্মসাৎ, বদলি তদবির, রিকশা-ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স প্রদান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে পাথর-বালু, বিটুমিন সাপ্লাইয়ের নামে প্রতারণা। এমনকি জেল থেকে হাজতি ছাড়াতেও বিভিন্নজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েছেন এই প্রতারক।
বৃহস্পতিবার র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করে র্যাব। এই মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়। যাদের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
‘এই প্রতারকের অভিনব সব প্রতারণার তথ্য জানাতে র্যাব একটি হটলাইন নম্বর ও ইমেইল চালু করে। গতকাল সেটা বন্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৬০টি অভিযোগ আমরা পেয়েছি, যারমধ্যে ফোন কলের মাধ্যমে অভিযোগ এসেছে ১৩৯টি। আর বাকি অভিযোগ ইমেইলের মাধ্যমে এসেছে।’
র্যাব কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সাহেদ সাড়ে ১২কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য আমরা পেয়েছি। এর বাইরেরও তার বিরুদ্ধে ৪৮টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে এসব মামলার বিষয় আমলে নেবেন বলে জানান র্যাব মুখপাত্র।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন সাহেদ।
তবে ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন ১৬ জুলাই সাহেদ এবং রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। আর সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।