তাইওয়ান পার্লামেন্টে হাতাহাতি, তর্কাতর্কি, চড়-থাপ্পড় বিনিময় ও সংঘর্স

আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানের পার্লামেন্ট ভবনের বাইরের পরিবেশটা বেশ শান্ত হলেও এর ভেতরের পরিবেশটা অন্যরকম। সাদা ভবনটির সামনে দুই সারিতে সুসজ্জিত বাগান। এই দৃশ্য দেখলে মন ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু এখানের পার্লামেন্টে অধিবেশন মানেই সমাধানের চেয়ে আইনপ্রণেতাদের হাতাহাতি! তাইওয়ানের পার্লামেন্ট অধিবেশনে কয়েক দিন পরপর আইনপ্রণেতাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়ে থাকে। কখনোও তা সহিংস ঘটনায়ও রূপ নেয়।

তাইওয়ানের পার্লামেন্টে অধিবেশনে আইনপ্রণেতাদের হাতাহাতি চলতি মাসে নোংরা রূপ ধারণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার অধিবেশন চলাকালে একজন আইনপ্রণেতা আরেকজনের দিকে চেয়ার তুলে ছুড়ে মেরেছেন। অবকাঠামোগত সংস্কার বিল নিয়ে সরকারি দল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিরোধী দল কুয়োমিনটাংয়ের (কেএমটি) এমপিরা। এতেই দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি, চড়-থাপ্পড় বিনিময় ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার রেশ আজও ছিল। আজ আইনপ্রণেতাদের কমিটির সভা ছিল। এতে কেএমটির এমপিদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন ডিপিপির এমপিদের হাতাহাতি একপর্যায়ে কুস্তিতে পরিণত হয়। কেএমটির এমপিরা ডিপিপির এমপিদের মেঝেতে আছড়ে ফেলে দেন। ডিপিপির এমপিরা যাতে বিল পাসে সমর্থন দিতে না পারে, এ কারণে মাইকের তার খুলে ফেলা হয়।

এ সময় স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা, মন্ত্রী ও সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাইওয়ানের পার্লামেন্ট অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা হাতাহাতি করছেন। চিৎকার-চেঁচামেচি তো আছেই। এ ছাড়া একে অন্যদের দিকে প্লাস্টিকের বোতল, ওয়াটার বেলুন এমনকি মুখে পানির গ্লাসও ছুড়ে মারেন। কারণ, পার্লামেন্টে ১১৩টি আসন পাওয়ায় সংখ্যালঘু অবস্থানে বিরোধী দল। তাই হাতাহাতি করে কোনো বিলে সরকারি দলের এমপিদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখাই তাদের একমাত্র উপায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *