নিজে করোনা আক্রান্ত বলে আদালতকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিলেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম। মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম তার কথায় কান দেননি। বরং পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষের আর্জিতে দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে শাহেদ বলেন, তিনি নির্দোষ। অযথা র্যাব তাকে ফাঁসিয়েছে। এক পর্যায়ে শাহেদ বলেন, করোনায় তার বাবা মারা গেছেন। তিনি নিজেও আক্রান্ত ছিলেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, অপরাধ করার সময় হুঁশ ছিল না! করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বুধবার র্যাব তাকে আটক করে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিচার কক্ষে মিডিয়াকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, এই শাহেদের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তার জালিয়াতির কারণে ইতালি থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক, প্রবাসী কর্মীদের ফেরত আসতে হয়েছে। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনে শাহেদকে দশদিন ও রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শাহেদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মমালা করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।