আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশব্যাপী গণপরিবহন চলবে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ বিজ্ঞপ্তি দেবে।
তবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, ভারী পরিবহন ঈদের তিন দিন আগে বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে জরুরি সেবাসহ কয়েক ধরনের পণ্যবাহী যান চলবে। এর আগে বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই তারা অনুসরণ করবে।
ঈদে গণপরিবহন চলাচল নিয়ে সরকারি এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বুধবার বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। ঈদের দিনসহ আগে পাঁচ দিন এবং পরের তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানান নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
পরে তিনি বলেন, ‘এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে তিন দিন পণ্যবাহী যে কোনো ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন, গণপরিবহনের একটা অংশ যাত্রীবাহী লঞ্চ বা ফেরি চালু থাকবে।’
বর্তমানে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতির মধ্যেই ঈদ ঘিরে তা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট দেশে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
করোনা মহামারীর কারণে ঈদুল ফিতরের সময় গণপরিবহন বন্ধ ছিল। তবে মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সুযোগ থাকায় অনেকেই ঈদ করতে বাড়ি গেছেন। পরে করোনা সংক্রমণ বাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা ঈদ ঘিরে মানুষের চলাচলকে দায়ী করেছেন।