একই টেস্টে ছেলে খেলোয়াড় আর বাবা দায়িত্বে আছেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়। এমন নজিরবিহীন এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেল ওল্ড ট্রাফোর্ড। ছেলে স্টুয়ার্ট ব্রড আর বাবা ক্রিস ব্রড নাম লেখালেন ইতিহাসের অনন্য এক পাতায়।
গতকাল ম্যানচেস্টারের ওল্ড ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস হতেই হয়ে যায় ইতিহাস। এই ঘটনা দেখা যেতে পারত সাউদাম্পটনে প্রথম টেস্টেই। কিন্তু সেই টেস্টে দীর্ঘদিন পর একাদশে জায়গা হারান স্টুয়ার্ট ব্রড।
ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে হারের পর একাদশে উলটপালটের স্রোতে প্রত্যাশিতভাবে ফেরেন ব্রড। আর তার বাবা ক্রিস ব্রড তো পুরো সিরিজেই আছেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়।
করোনাভাইরাসের কারণে তৃতীয় কোন দেশের ম্যাচ অফিসিয়াল ছাড়া স্থানীয় অফিসিয়াল দিয়ে খেলা চালানোর অনুমতি দেয় আইসিসি। আইসিসির এলিট প্যানেলে সাতজন ম্যাচ রেফারির মধ্যে ইংল্যান্ডের আছেন কেবল ক্রিস ব্রডই। কাজেই স্থানীয় ম্যাচ রেফারি হিসেবে তিনি থাকতেনই।
এমনিতে টেস্ট ম্যাচে ম্যাচ রেফারি ও মাঠের দুই আম্পায়ার বাধ্যতামূলকভাবে তৃতীয় কোন দেশের হওয়ায় বাবা-ছেলের এমন ইতিহাসের সুযোগ ছিল না। সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিস অনেকদিন থেকে ম্যাচ রেফারি থাকলেও কখনো তাই ছেলের কোন ম্যাচ পাননি।
একই আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাবা আম্পায়ার আর ছেলে খেলোয়াড় এমন ঘটনা অবশ্য আছে। ওয়ানডেতে ২০০৬ সালে সেই ঘটনায় আবার সাক্ষী বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে এক ম্যাচে কেনিয়ার হয়ে খেলছিলেন হিতেশ মোদি। সেই ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তারই বাবা সুভাস মোদি। মজার কথা হলো, মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ছেলে হিতেশের আউটের আবেদনে আঙুল তুলেছিলেন বাবা সুভাস।