বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব জানিয়েছে, ভারতে পালিয়ে যাবার আগ মুহূর্তে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আটক করা হয়েছে।
আটকের পর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে র্যাব সদর দপ্তরে নেয়া হয়।
পরে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
এর আগে ঢাকায় আসার পরপরই সদর দপ্তর থেকে তাকে সাথে নিয়ে উত্তরায় তার একটি অফিসে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
সেখানে র্যাব কর্মকর্তারা জানান যে সদর দপ্তরে নেয়ার পর একটি তথ্য পেয়েই উত্তরার অফিসে তাকে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন তারা।
বেলা সাড়ে এগারটার দিকে শুরু করে ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালানোর পর আবার সাহেদ করিমকে নিজেদের সদর দপ্তরে নিয়ে যায় র্যাব।
এর আগে সকালে সাতক্ষীরায় তাকে আটকের পর র্যাব-এর কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতার এড়াতে মো. সাহেদ ছদ্মবেশ ধারণ করে।
তিনি বলেন, “বোরকা পরে একটি নৌকায় উঠার চেষ্টা করছিলেন মো. সাহেদ। তখনই তাকে আটক করা হয়।”
র্যাব কর্মকর্তা জানান, “নৌকায় ওঠার আগেই আমরা ধরে ফেলেছি, মূলত পাড়ে। আমরা তাকে অনুসরণ করছি বিভিন্ন জায়গায়। সে ঘনঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল।”
“সে তার চুলের রং চেঞ্জ করেছে, গোঁফ কেটে ফেলেছে। তার চুল সাধারণত সাদা থাকে, সে কালো করে ফেলেছে। তার প্ল্যান ছিল মাথা ন্যাড়া করার। সে ইন্ডিয়াতে গেলে হয়তো করতো।”
র্যাব কর্মকর্তা জানান, নৌকার যে মাঝি মো. সাহেদকে নদী পার হতে সহযোগিতা করছিল, সে পালিয়ে গেছে।
“সে মাঝি আসলে খুব ভালো সাঁতার জানে। উপস্থিতি টের পেয়ে সে সাঁতরিয়ে চলে গেছে। সে (সাহেদ) মোটা মানুষ সেজন্য হয়তো সে পালাতে পারে নাই। সেজন্যই সে (সাহেদ) ধরা পড়েছে। ”
টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ই জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।
তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ পলাতক ছিলেন।
তখন থেকেই র্যাব বলে আসছিল যে মো. সাহেদ যাতে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারত যেতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।