করোনা পরীক্ষার জালিয়াতিতে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের দুর্নীতির অনুসন্ধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য চিঠি পাঠানোর বিষয় নিশ্চিত করেন।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আরো জানান, সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান টিম প্রধান উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের সই করা চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
আজ উত্তর সিটি করপোরেশন, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক, দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বিমানবন্দর শাখা ব্যবস্থাপক, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং এনবিআর’র কর অঞ্চল-৯ এর উপ-কর কমিশনারের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র ঋণ ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া নাম-পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, আয়কর ফাঁকির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।